ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে পাকা আম খাবেন? জেনে নিন ৫ পদ্ধতি

গ্রীষ্মের গরমে দেখা মেলে রকমারি আমের। কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে আসবে হিমসাগর, ল্যাংড়ার মতো সুস্বাদু পাকা আম। তবে অনেকেই ভাবেন—ডায়াবেটিস থাকলে কি পাকা আম খাওয়া ঠিক হবে? আম অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি, এ, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তবে এতে শর্করা ও ক্যালোরির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে পাকা আম খাওয়া নিয়ে এক ধরনের দ্বিধা দেখা যায়।
পুষ্টিবিদ অনুশ্রী মিত্রের মতে, ডায়াবেটিস রোগীরাও পাকা আম খেতে পারেন। কিন্তু কয়েকটি নিয়ম মেনে খেতে হবে। উচ্চ পরিমাণে ফ্রুটোজ থাকলেও আমে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে আম খাবেন
১. ডায়াবেটিস রোগী না হলেও ইচ্ছে মতো পাকা আম খাওয়া চলবে না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে। একটা বড় সাইজের আম গোটা না খেয়ে, তা সকাল-বিকেল ভাগ করে খান। একটা আম সারাদিন ধরে খেলে সুগার লেভেল বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই।
২. গোটা আম খাবেন না। আম ছোট ছোট টুকরো করে খান। এতে মনে হবে, অনেকটা পাকা আম খেয়ে ফেলেছেন।
৩. পাকা আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। তাই ভারী খাবারের সঙ্গে পাকা আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। বিশেষত রাতে খাবার খাওয়ার পর পাকা আম খাবেন না।
৪. সকালের নাশতা ও লাঞ্চের মধ্যবর্তী সময়ে পাকা আম খেতে পারেন। আবার নাশতায় দুইটি রুটির সঙ্গে এক টুকরো আম খেতে পারেন। তবে ভরপেট খাবার খাওয়ার সঙ্গে পাকা আম না খাওয়াই ভালো।
৫. ফল হিসেবেই পাকা আম খান। পাকা আমের জুস, পুডিং বা অন্য কোনো ডেজার্ট বানিয়ে খাবেন না। এতে আমের পরিমাণ বোঝা যায় না এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।
৬. পাকা আমের সঙ্গে বাদাম, শসার মতো খাবার রাখতে পারেন। এতে রক্তে গ্লুকোজ নিঃসরণ ধীর গতিতে হবে। এই টোটকায় পাকা আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করে বাড়বে না।
সুগার লেভেল যাচাই করে নিন-
প্রত্যেকের শরীর সমান নয় এবং শারীরিক জটিলতাও একে-অন্যের থেকে আলাদা। তাই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য পাকা আম উপযুক্ত কি না, কিংবা দিনে কতটা পাকা আম খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম, সে সম্পর্কে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা যাচাই করুন।
সূত্র : এই সময়