থাইরয়েড ক্যানসার কী, যেসব লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসা নিতে হবে

থাইরয়েড হলো গলার সামনের দিকে প্রজাপতির মতো একটি ছোট গ্রন্থি, একে এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ড বলা হয়। সেই গ্রন্থি এক ধরনের হরমোন তৈরি করে মানুষের রক্তের মধ্যে সেটা মিশিয়ে দেয় এবং সেই হরমোন মানব শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের মধ্যে কিছু কাজ করে। মানুষের বৃদ্ধিতে এবং কার্যক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। বাড়ন্ত বয়সে বুদ্ধিমত্তার ওপরও অনেক প্রভাব ফেলে। এটা মানবদেহের খুব উপকারী একটা উপাদান। তবে অনেক সময় থাইরয়েডের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়, যার মধ্যে সবচেয়ে জটিল থাইরয়েড ক্যানসার। মায়ো ক্লিনিকের এক প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
থাইরয়েড ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গগুলো
– ঘাড়ের ত্বকের মধ্যে হালকা চাকা বা গাঁট দেখা যাওয়া
– জামার সঙ্গে ফিটিং শার্টের কলারগুলো টাইট লাগার অনুভূতি
– কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, ফলে কর্কশতা বা ভিন্নতা দেখা দেয়
– খাবার গিলতে সমস্যা
– ঘাড়ের লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া
– ঘাড় ও গলায় হালকা ব্যথা
এই লক্ষণগুলোর যেকোনো প্রকাশ ঘটলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
থাইরয়েড ক্যানসার চার ধরনের—
– প্যাপিলারি ক্যানসার
– ফলিকুলার ক্যানসার
– মিডুলারি ক্যানসার
– এনাপ্লাস্টি ক্যানসার
যেটা প্যাপিলারি ক্যানসার, সেটা সর্বাধিক হয়ে থাকে। ৮০ ভাগের ক্ষেত্রে। সেটার ফলাফল খুবই ভালো। ধরে নেওয়া হয় যে প্রায় শতভাগ স্বাভাবিক জীবন, স্বাভাবিক জীবনে দীর্ঘতা, সব ঠিক থাকবে। ফলিকুলারের ফলাফল আরেকটু খারাপ। মিডুলারিতে আরেকটু খারাপ। এনাপ্লাস্টিতে খুব খারাপ। এনাপ্লাস্টিতে এক বছরের মধ্যে মারা যায়। এটায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সব ক্ষেত্রে ঝুঁকি স্পষ্ট নয়। তবে যাদের বংশগতভাবে মেডুলারি থাইরয়েড ক্যানসারের সম্ভাবনা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে প্রোফাইল্যাকটিক থাইরয়েডেকটমি অর্থাৎ প্রতিরোধমূলক অস্ত্রোপচার বিবেচনা করা যেতে পারে। এর আগে অবশ্য একজন জেনেটিক কাউন্সেলরের পরামর্শ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।