রোগীর জীবন রক্ষার্থে সিপিআর প্রশিক্ষণ পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তির দাবি

কার্ডিয়াক আ্যরেস্ট হওয়া রোগীর জীবন রক্ষার্থে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) প্রশিক্ষণ জরুরি বলে জানিয়েছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আয়োজনে এবং হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সহযোগিতায় আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ‘সিপিআর ফর প্রফেশনাল’ শীর্ষক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বেলা ১১টায় হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে সাংবাদিক, আইনজীবী ও চিকিৎসকেরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের সামনে সিপিআর কীভাবে করতে হয়, জরুরি মুহূর্তে এর প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ।
ডা. মহসীন আহমদ বলেন, হৃদযন্ত্র হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে সিপিআর প্রয়োগ করলে রোগীর প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব। আমাদের সবাইকে এ প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রয়োজন। ৯ম-১০ম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে সিপিআর অন্তর্ভুক্তেরও দাবি করেন তিনি।
উদাহরণ টেনে ডা. মহসীন আহমদ বলেন, ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ঢাকার অদূরে কার্ডিয়ার আ্যরেস্ট হয়েও বেঁচে গেলেন। আর সিপিআর বিষয়ে জ্ঞান না থাকার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক মারা যান। অথচ তার সহকর্মীরা কত আন্তরিক ছিলেন, হাসপাতালে নিলেন, বাতাস করলেন, কিন্তু সিপিআর দেওয়া হলো না। তাকেও বাঁচানো গেল না। একইভাবে জাকসু নির্বাচনেও সঠিক সময়ে সিপিআর না পাওয়ায় প্রাণ হারান এক শিক্ষক।
কর্মসূচির শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র (সার্টিফিকেট) তুলে দেওয়া হয়। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ সচেতনতা বাড়াবে এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবন রক্ষাকারী প্রাথমিক চিকিৎসায় দক্ষ করে তুলবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমএইচ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিফ ফিজিশিয়ান জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. সায়েদা আলেয়া সুলতানা। সিপিআর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমেদ।