পূজায় স্নিগ্ধ সাজে নারী

ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পূজার আয়োজন থাকে। আর একেক দিন নারীদের সাজও থাকে একেক রকম। কখনো আভিজাত্য, কখনো বা ফুলেল সাজে, আবার কখনো নারীরা ব্যস্ত ঘরোয়া স্নিগ্ধ সাজে। যেভাবেই সাজুক না কেন, সাজে থাকা চাই পূজার আমেজ।
শাড়ির রং বাছাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। উজ্জ্বল রংগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। তাই পূজায় উজ্জ্বল রঙের শাড়ি পরুন। লাল, কমলা, নীল, মেরুন, বাসন্তী, সবুজ, কালো—যেকোনো রঙের শাড়িই পরতে পারেন। একরঙাও হতে পারে, আবার কয়েকটি রঙের মিশ্রণে পরতে পারেন। এটি পুরোটা নির্ভর করছে বয়সের ওপর।
পূজায় সুতির কাপড় পরাটাই ভালো। কারণ, সারা দিনের ব্যস্ততায় স্বস্তিতে থাকাটা বেশ জরুরি। সিল্ক বা হাফসিল্কও পরতে পারেন। দেখতে মন্দ লাগবে না। যদি বাইরে ঘোরাঘুরি করেন, তাহলে সুতি পরুন। আর ইনডোর কোথাও গেলে সিল্ক বা হাফসিল্ক পরতে পারেন।
সব সময় আটপৌরে শাড়ি না পরাটাই ভালো। কুচি দিয়ে শাড়ি পরলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। কারণ, পূজা মানেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা। তাই ঘোরাফেরা করতে হলে কুচি দিয়ে শাড়ি পরুন। দেখতেও ভালো লাগবে, আবার অনেক জায়গায় যেতেও কোনো সমস্যা হবে না।
গরমে ছোট হাতার ব্লাউজ পরতে পারেন। তাই বলে যে স্লিভলেস পরতে হবে, তা না। একেবারে ছোট হাতার কিছু ব্লাউজ আছে। শাড়ির সঙ্গে বেশ মানায়। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার পছন্দটাই বেশি প্রাধান্য পাবে।
হালকা সাজেই পূজার দিনটি শুরু করুন। বেইজ মেকআপের পর চোখে টেনে কাজল বা লাইনার দিন। গাঢ় করে মাশকারা দিন। ঠোঁটে গাঢ় লাল রঙের লিপস্টিক। সে সঙ্গে কপালে বড় লাল টিপ। মাঝে সিঁথি করে চুলগুলো খোঁপা করে নিন। বিবাহিত হলে সিঁদুর তো থাকছেই। দেখবেন, সবার মাঝে আপনাকে বেশ স্নিগ্ধ লাগবে।
গয়না একেবারেই পরার দরকার নেই। যদিও পরেন, তাহলে বেছে নিন বেলি ফুলের গয়না। গলায়, কানে, খোঁপায় পেঁচিয়ে নিন বেলি ফুল। আর হাতেও পরতে পারেন বেলি ফুলের মালা। এককথায়, আপনি অসাধারণ!
মডেল : লগ্ন, মেকআপ : অরা বিউটি লাউঞ্জ, পোশাক : রঙ, ছবি : প্রত্যয় আহমেদ