মা ভালোবাসার এক অন্তহীন উৎস

আজ রোববার (১০ মে) বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আজ এই বিশেষ দিনটি। কিন্তু শুধু একটি দিন নয়—মায়ের উপস্থিতি বছরের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তেই অনুভূত হয়। মা হলেন ভালোবাসার এক অন্তহীন উৎস, যার ছায়া আমাদের অস্তিত্বের প্রতিটি কোণে বিস্তৃত।
মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় একজন শিশুর সঙ্গে মায়ের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জন্মের পর সেটা আরও গভীর ও দৃঢ় হয়ে ওঠে। কিন্তু মা কেন এত অনন্য? কী এমন গুণে তিনি হয়ে ওঠেন একজন সন্তানের জীবনের সবচেয়ে বড় আশ্রয়?
নিঃশর্ত ভালোবাসার প্রতীক
মায়েরা নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক জীবন্ত উদাহরণ। সন্তান যখন হাসে, তখন মায়ের মন আনন্দে ভরে ওঠে। আর যখন সন্তান কাঁদে, মা যেন ব্যথায় কুঁকড়ে যান। তাদের ভালোবাসা কোনো শর্তের ওপর নির্ভর করে না—না সাফল্যের, না আচরণের। এই অমোঘ ভালোবাসাই পারিবারিক বন্ধনের ভিত্তি গড়ে তোলে।
রান্নার জাদুতে হৃদয়ের ছোঁয়া
প্রত্যেক সন্তানের কাছে তার মায়ের রান্নাই সবচেয়ে সুস্বাদু। সাধারণ উপকরণকে অসাধারণ খাবারে পরিণত করতে যে ভালোবাসা ও যত্ন প্রয়োজন, তা মায়ের হাতেই সবচেয়ে নিখুঁতভাবে মেলে। এই রান্নায় শুধু স্বাদ নয়, থাকে স্মৃতি, মমতা ও অনন্ত যত্নের ছোঁয়া।
প্রার্থনায় শক্তি
মায়েদের আরেকটি মৌলিক শক্তি হলো প্রার্থনা। তারা প্রতিনিয়ত সন্তানের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন। আর সেই প্রার্থনা সন্তানের শক্তি হিসেবে কাজ করে।
প্রতিরক্ষামূলক প্রবণতা
সন্তানকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে মা কখনোই পিছপা হন না। শারীরিক হোক বা মানসিক, যেকোনো ঝুঁকিতে মা হয়ে ওঠেন সবচেয়ে বড় রক্ষাকর্তা। মায়েরা কখনো কখনো একাই দাঁড়িয়ে যান পুরো পৃথিবীর বিরুদ্ধে—শুধু সন্তানের জন্য।
একইসঙ্গে বহু দায়িত্বে পারদর্শী
একজন মা ঘরের কাজ, চাকরি, সংসারের দুশ্চিন্তা—সব কিছু সামলান দক্ষতার সঙ্গে। তিনি নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ‘মাল্টিটাস্কার’।
ত্যাগে অনন্যা
মায়ের জীবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য নিরব আত্মত্যাগ। সন্তানের চাহিদা পূরণের জন্য নিজের স্বপ্ন, আকাঙ্খাকে নিঃসংকোচে বিসর্জন দেন।
শ্রেষ্ঠ পরামর্শক
জীবনের যেকোনো জটিল মোড়, সিদ্ধান্তহীনতা কিংবা মানসিক টানাপোড়েন—সব কিছুতেই মায়ের পরামর্শ হয়ে ওঠে আলোর দিশা। মায়েরা হৃদয়ের গভীরতা দিয়েও জীবনকে বোঝাতে সক্ষম।
সমস্যার সৃজনশীল সমাধানকারী
সন্তান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলে, মায়েরা দক্ষতার সঙ্গে তা সমাধানের চেষ্টা করেন।