৫৮-তেও ছিপছিপে চেহারা কীভাবে ধরে রেখেছেন মাধুরী?

নব্বইয়ের দশকের হার্টথ্রব মাধুরী দীক্ষিত। ৬০-এর কোঠা ছুঁইছুঁই। অথচ অটুট রয়েছে তাঁর সৌন্দর্য। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ৫৮-তে পা দিলেন বলিউডের এই নায়িকা। কিন্তু তাকে দেখলে তা মনে হয় না। আজও মাধুরীকে দেখলে যুবতী মনে হয়। তার এই সৌন্দর্যের রহস্য কী, জানেন?
ছিপছিপে চেহারা ও উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী দীক্ষিত বলেন, ‘কাজ করতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলা দরকার।’
মাধুরীর সৌন্দর্যের আসল রহস্য লুকিয়ে একটি প্ল্যান্ট-বেসড পানীয়তে। প্রতিতিন ওই পানীয় খেয়েই ছিপছিপে চেহারা ধরে রেখেছেন তিনি। কী কী থাকে সেই পানীয়তে?
ফ্রোজেন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাশবেরির মতো ফল দিয়ে তৈরি স্মুদি খান মাধুরী। এতে প্রাণীজ দুধের পরিবর্তে আমন্ড মিল্ক বা ওটস মিল্ক ব্যবহার করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, চিনির এক দানাও দেন না স্মুদিতে। তবে এক চামচ বা হাফ চামচ প্রোটিন পাউডার মেশান। রাতে তৈরি করে রাখেন এই পানীয় এবং পরদিন সেটি খান।
এই পানীয় স্ন্যাকস হিসেবে খান নায়িকা। কাজের ফাঁকে কিংবা দু’টো ভারী খাবারের মাঝে চুমুক দেন এই উদ্ভিজ্জ পানীয়তে। মাধুরী জানিয়েছেন, এই স্মুদি যে কেউ তার নিজের মতো করে তৈরি করতে পারে। যদি স্মুদি বানাতে না পারেন, তাহলে ফল, সবজি, বাদাম বা প্রোটিন বার খেতে পারেন স্ন্যাকস হিসেবে।
বেরিজাতীয় ফলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। চামড়াকে টানটান রাখে। উদ্ভিজ্জ দুধ খেলে হজমেই এড়ানো যায় হজমের গণ্ডগোল। আর প্রোটিন পাউডার থাকলে এটি পেশি গঠনে সাহায্য করে। এই স্মুদি খেলে পেটও ভর্তি থাকে দীর্ঘক্ষণ।
মাধুরীর মতো এই পানীয় আপনিও খেতে পারেন। নাশতায় কিংবা ওয়ার্কআউটের পরও চুমুক দিতে পারেন মাধুরীর স্পেশাল পানীয়তে।