মাসের শেষ ১০ দিন চলবেন যেভাবে

মাসের প্রথমদিকে বেতন পাওয়ার পর কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ইন্টারনেট বিল পরিশোধ—সবই চলে। কিন্তু মাসের শেষের দিকে টান পড়ে পকেটে। বিশেষ করে মাসের শেষ ১০ দিন প্রায় টানাপোড়েনের মধ্যে চলতে হয়। এসব ঘটনা প্রায়শ কর্মজীবীদের মধ্যে ঘটে। কিন্তু একটু কৌশলী হলে এই সময়টাও হতে পারে অনেকটা সহজতর। চলুন জেনে নিই, মাসের শেষ ১০ দিনের পরিকল্পনা কেমন হবে এবং কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
দৈনন্দিন খরচে সাশ্রয়ী হন
দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট খরচেও সাশ্রয়ী হওয়া দরকার। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি — এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব মিতব্যয়ী হন। রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পরিবর্তে ঘরে তৈরি খাবার খান।
চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করুন
চাহিদা হচ্ছে-যেসব জিনিস ছাড়া চলা সম্ভব, যেমন নতুন জামা-কাপড়, ব্যয়বহুল মোবাইল ফোন, টিভি, ফ্রিজ ও আসবাবপত্র। তাই আর্থিক সংকটের সময়ে প্রয়োজনীয়তার দিকে মনোযোগ দিয়ে চাহিদাগুলোকে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
বাজারে সাশ্রয়ী হোন
মাসের শেষের দিকে বাজার করার আগেই দেখে নিন রান্নাঘরে কী আছে। এ সময় মাছ, মাংস না কিনে ডিম ও ডাল জাতীয় খাবার কিনতে পারেন। এগুলো অনেক পুষ্টিকর ও সস্তা। এছাড় মৌসুমি সবজি কিনতে পারেন। এই সবজিগুলো বাজারে সহজে পাওয়া যায় এবং দামেও স্বস্তা। এ ছাড়া খরচ কমাতে হালকা রান্না যেমন- খিচুড়ি, ডিম ভুনা, ডাল-ভাত হতে পারে বিকল্প স্বাস্থ্যকর খাবার।
বাড়তি আয়ের সুযোগ খুঁজুন
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের সুযোগ খুঁজুন। যেন মাসের শেষ ১০ দিনে এই উপার্জন আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে। বিশেষ করে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে বাড়তি আয় করতে পারেন।
অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকুন
অভাবের দিকটা ভাবলে মন খারাপ হয়ে যায়। তাই যা আছে, সেটাকে পরিকল্পনা মাফিক কাজে লাগাতে পারলেই সংসারের খরচ চালানো সহজ হয়ে যাবে।
সঞ্চয়কে প্রাধান্য দিন
সঞ্চয় করা মানে নিজের জন্য একটি নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করা। অল্প আয় হলেও সঞ্চয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। অল্প আয় থেকে প্রতিমাসে সামান্য অর্থ সঞ্চয় করুন এবং এই সঞ্চয়কে দীর্ঘমেয়াদে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। যেন মাসের শেষের দিকে পকেটে টান পড়লে জমানো টাকা থেকে সংসার খরচ চালানো যায়।
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন
সাধারণত পকেটে টান পড়লেই আমাদের মানসিক চাপ বেড়ে যায়। আর এই চাপের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই নিজেকে বুঝান যে এটা সাময়িক সমস্যা। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।