অসৌজন্যমূলক মন্তব্য, ফেসবুক ছাড়লেন ন্যান্সি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/02/05/nacy_cover.jpg)
ইন্টারনেটের এই যুগে তারকাদের সব খবর অন্তর্জালে ঢুঁ মারলেই পাওয়া যায়। সেই অন্তর্জালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গতকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সিকে।
কারণ জানতে আজ শুক্রবার দুপুরে ন্যান্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এনটিভি অনলাইনকে তিনি যে কারণ জানিয়েছেন, সেটা সবচেয়ে কম শব্দে বললে, অসৌজন্যমূলক মন্তব্যের জেরেই ফেসবুক ছেড়েছেন এই সংগীত তারকা।
দীর্ঘ আলাপচিতায় ন্যান্সি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “গতকাল ফেসবুক পেজ আনপাবলিশড করেছি। এত অসৌজন্যমূলক মন্তব্য আমি আর নিতে পারছি না আসলে। শুধু আমি নই, ফেসবুকে আমাদের দেশের কোনো তারকা ছবি পোস্ট করলে (বিশেষ করে কোনো নারী তারকা) সেই ছবির নিচে যেসব মন্তব্য পড়ে তা আসলে নেওয়া কঠিন। এমন নয় যে শুধু ফেইক আইডি থেকে মন্তব্য আসে, অনেক নাম ঠিকানা ও ভালো প্রতিষ্ঠানের কর্মরতরা এসব নোংরা মন্তব্য করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁদের উত্তর, ‘আমরা কতজনকে ধরব আপা’। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে ফেসবুক ছেড়েছি।”
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি আরো বলেন, ‘অনেকেই বলে এই ব্যাপারটি ইগনোর করতে। আমি করেছি, কিছু নোংরা মন্তব্যকারীদের পেইজ থেকে ব্যান করেছি। কিন্তু বাচ্চা, সংসার আর গান সামলে এসব করে ওঠা কঠিন। আর অনেকেই ভাবেন, প্রচারণার জন্য আমাদের ফেসবুক লাগবেই। তাদের বলতে চাই, যখন ফেসবুক এতটা ছিল না, তখন ন্যান্সি ছিল না? তখন প্রচারণা হতো না?’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/02/05/nacy_2.jpg 687w)
আলাপচারিতার শেষে ‘পৃথিবীর যত সুখ যত ভালোবাসা’ গানের শিল্পী জানিয়েছেন, ‘পেইজ আমি ডিলিট করিনি। এখন পর্যবেক্ষণ করব অন্য তারকাদের ফেসবুক। সেখানে অসৌজন্যমূলক মন্তব্যর মাত্রা যদি সহনীয় মাত্রায় আসে, তখনই ফেসবুকে ফিরব। সেটা দুমাসও হতে পারে আবার চার মাসও হতে পারে।’
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ২০০৬ সালে ‘হৃদয়ের কথা’ সিনেমায় প্লেব্যাক করে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৯ সালের তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘ভালোবাসা অধরা’ মুক্তি পায়। ২০১১ সালের ‘প্রজাপতি’ সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।