দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভুগছেন?
অনেকেই দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।
সিকেডি কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এ সামাদ বলেন, সিকেডিকে (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ) আমরা যদি বাংলায় বলি, তাহলে এটি হবে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ। একসময় এটাকে বলা হতো সিআরএফ, মানে ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর। কিন্তু ফেইলিউর মানেই তো একটা আতঙ্কের কথা। সিকেডি বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ এমনই, যেটা শুরু হলো, সেই শুরু থেকে ধাপে ধাপে মাসের পর মাস বছরের পর বছর যদি যে কারণে হচ্ছে সে কারণগুলো কন্ট্রোল করা না হয়, তাহলে খারাপের দিকে যেতে যেতে একদম এক নম্বর ধাপ থেকে পাঁচ নম্বর ধাপ পেরিয়ে যখন আরও খারাপের দিকে যায়, তখন সেটা কিডনি ফেইলিউরে পৌঁছে যায়। সে জন্য সিকেডি বলতে আমরা যেটি বুঝি যে এটা দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেটা শুরু হয়... শুরু হওয়ার পরেও যদি তিন মাসের মধ্যে এটা ভালোর দিকে রিটার্ন না করে, তাহলে বাই ডেফিনেশন এটা সিকেডি।
ডা. এম এ সামাদ আরও বলেন, সিকেডি থেকে ফেইলিউর হতে অনেক বছর লেগে যেতে পারে। এটা আমাদের জন্য একটা ভালো সংবাদ দেয়। যদি আমরা প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ শনাক্ত করতে পারি, তাহলে এই যে পাঁচটা ধাপ পেরিয়ে শেষ পর্যায়ে চলে যাবে, যে অবস্থায় চলে গেলে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের হয় ডায়ালাইসিস, না হলে কিডনি সংযোজন এবং এগুলোর ব্যয় এত বেশি যে আমাদের মতো দেশে দশ ভাগ লোকের এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যয় বহন করার সক্ষমতা নেই। সে জন্য আমরা যদি আরলি স্টেজে ডিটেক্ট করতে পারি এবং কারণগুলো চিকিৎসা করে প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে ভয়াবহ ফেইলিউর আমরা ঠেকাতে পারি।
সিকেডি এবং সিকেডি রোগীর লাইফস্টাইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।