নিজেদের ভুলে পুড়ল বেলজিয়াম, কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স
আক্রমণ কিংবা বলের নিয়ন্ত্রণ—দুটিতেই দাপট ছিল ফ্রান্সের। শুধু মিলছিল না জালের দেখা। একটি গোলের প্রতীক্ষায় থাকা ফ্রান্সকে স্বয়ং গোল উপহার দিল প্রতিপক্ষ। হ্যাঁ, নক আউটের মতো বাঁচা-মরার ম্যাচে নিজেদের ভুলের আগুনেই পুড়ল বেলজিয়াম। আত্মঘাতি গোল করে ফ্রান্সকে এনে দিল খুশির উপলক্ষ্য। প্রতিপক্ষের আত্মঘাতি গোলে জয় নিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ আট নিশ্চিত করল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ভাগ্যের সুবাদে ১-০ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া একমাত্র গোলদাতা হলেন বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার ইয়ান ভার্টোনেন।
ডুসেলডর্ফে এদিন ম্যাচের আক্রমণ ৫৬ভাগ সময় ছিল ফ্রান্সের দখলে। এই সময়ে ২০বার আক্রমণে গিয়েও গোলশূন্য ছিল ফরাসিরা। দুটি অন টার্গেট শটেও মেলেনি জালের দেখা। বিপরীতে ৫বার আক্রমণে গিয়ে ফল পায়নি বেলজিয়ামও।
ম্যাচের মূল একাদশে নামা আন্তোইন গ্রিজম্যান শুরুতেই শট নেন গোলের আশায়। তবে সেটা সহজেই ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষের কিপার। ১৩তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে গিয়েও উড়িয়ে মারেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এর মধ্যে ২৪তম মিনিটে ফ্রান্সের বক্সের বাইরে জেরেমি ডোকুকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন গ্রিজমান। পুরো ম্যাচেই আক্রমণে আক্রমণে বেলজিয়াম শিবির কাঁপিয়ে তোলে ফ্রান্স। কিন্তু কিছুতেই মেলেনা গোল।
অবশেষে ৮৫তম মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বেলজিয়ামকে স্তব্ধ করে আত্মঘাতি গোল করে বসেন ভার্টোনেন। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে একটু জায়গা বানিয়ে ডান পায়ে কোনাকুনি শট নেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা রান্দাল কোলো মুয়ানি। সেই বল ভার্টোনেনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে চলে যায় নিজেদেরই জালে। অবাক হয়ে রইলেন গোলরক্ষক কাস্তেলস। উচ্ছ্বাসে ফেটে পরে পুরো ফ্রান্স শিবির। ওই ব্যবধান ধরে রেখেই জয়ের নাগাল পেয়ে যায় দিদিয়ের দেশমের দল।
অবাক করার বিষয় হলো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়া ফ্রান্স এখন পর্যন্ত মাত্র একটি গোল নিজেরা করতে পেরেছে। তাও পেনাল্টি থেকে। দুটি ম্যাচে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোল পেয়েছে ফরাসিরা।