সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন লিভারপুল তারকা দিয়োগো জোতা

সপ্তাহ দুয়েক আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শৈশবের প্রেমিকার সঙ্গে। হয়তো স্বপ্ন দেখেছিলেন, শেষ বয়সের কোনো এক গোধূলী বিকেলে এক সঙ্গে বসে, ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে এক জীবনের সব প্রেম নিয়ে গল্প করবেন। কিন্তু ভাগ্য বিধাতার পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। সেই স্বপ্ন অঙ্কুরিত হওয়ার আগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন লিভারপুলের পর্তুগিজ তারকা দিয়োগো জোতা (২৮)। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সড়ক দুর্ঘটনায় জোতার সঙ্গে মারা গেছেন তার ভাইও।
বিবিসি জানিয়েছে, স্পেনের জামরোয় গাড়ি দুর্ঘটনায় জোতা মারা গেছেন। জোতার সঙ্গে তার ২৬ বছর বয়সী ভাই আন্দ্রে সিলভাও মারা গেছেন। জোতার মতো সিলভাও ফুটবলার ছিলেন। পর্তুগালের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব পেনাফিয়েলে খেলতেন ২৬ বছর বয়সী সিলভা।
গত ২২ জুন দীর্ঘদিনের প্রেমিকা রুতে কারদোসোকে বিয়ে করেন জোতা। ২৮ জুন সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন জোতা। এর মধ্যেই এলো এমন মর্মান্তিক খবর।
জোতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন (এফপিই)। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন এবং পর্তুগিজ ফুটবল সংশ্লিষ্ট সবাই পুরোপুরি বিধ্বস্ত। আমরা দুজন চ্যাম্পিয়নকে হারিয়েছি। দিয়োগো ও আন্দ্রে সিলভার চলে যাওয়া পর্তুগিজ ফুটবলে অপূরণীয় ক্ষতি। তাদের লিগ্যাসির সম্মানে আমরা যা যা করার দরকার সবই করব।’
জোতা ও সিলভার মৃত্যুতে শোক জানাতে আজ মেয়েদের ইউরোয় পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচে এক মিনিট নীরবতা পালনের জন্য উয়েফাকে অনুরোধ করেছে পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন।
জোতার বর্তমান ক্লাব লিভারপুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে শোকবার্তা জানিয়েছে। সেখানে তারা লিখেছে, ‘ডিয়োগো জোতার মর্মান্তিক চলে যাওয়ায় লিভারপুল ফুটবল ক্লাব শোকে ভেঙে পড়েছে।’
২০১৪ সালে পর্তুগালের ক্লাব পাকোস দে ফেরেইরায় পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন জোতা। এরপর ২০২০ সালে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে যোগ দেন তিনি। অলরেডদের জার্সিতে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পাশাপাশি ২০২১-২২ মৌসুমে এফএ কাপও জিতেছিলেন জোতা। ক্লাবটির হয়ে ১৮২ ম্যাচে ৬৫ গোল করেছেন তিনি।
পর্তুগালের জার্সিতে জোতার অভিষেক ২০১৯ সালে ইউরোর বাছাই পর্বে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বদলি হিসেবে। পর্তুগালের হয়ে ৪৯ ম্যাচে ১৪ গোল করেছেন জোতা। জাতীয় দলের হয়ে নেশনস লিগ জিতেছেন দুবার- ২০১৯ সালের জুনে এবং এ বছর।
উজ্জ্বল এক তারকাকে হারিয়ে শোকাহত ফুটবল বিশ্ব।