বন্ধু জোতার সম্মানে পায়ে ট্যাটু করালেন নেভেস

পর্তুগিজ মিডফিল্ডার রুবেন নেভেসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন দিয়াগো জোতা। একসঙ্গে পর্তুগালে খেলার পাশাপাশি দুটি ক্লাবেও সতীর্থ ছিলেন তারা। গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া প্রিয় বন্ধু জোতার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং তাকে সম্মান জানাতে বাঁ পায়ে একটি ট্যাটু করিয়েছেন নেভেস। এছাড়া এখন থেকে পর্তুগালের ২১ নম্বর জার্সিও গায়ে জড়াবেন নেভেস।
নেভেসের বাঁ পায়ে করা ট্যাটুতে দেখা যায়, নেভেস জোতাকে জড়িয়ে ধরেছেন, যেখানে জোতার পিঠে জার্সিতে লেখা তার নাম ‘দিয়াগো জে.’ এবং জার্সি নম্বর ২১। পর্তুগালের অনুশীলনের সময় প্রয়াত বন্ধু জোতার সম্মানে ট্যাটুটি প্রকাশ করেন তিনি।
আল হিলালের মিডফিল্ডার নেভেস এখন পর্তুগাল জাতীয় দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৩ জুলাই স্পেনে এক মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনায় জোতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভার মৃত্যুর পর এটি পর্তুগালের প্রথম আনুষ্ঠানিক অনুশীলন ক্যাম্প। সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ আর্মেনিয়া ও হাঙ্গেরি।
জোতার সঙ্গে পোর্তো, উলভস ও পর্তুগাল জাতীয় দলে খেলেছেন নেভেস। বিদায়বেলায় ঘনিষ্ঠ বন্ধু জোতার কফিন বহন করেন নেভস, যা ছিল তার জন্য এক আবেগঘন মুহূর্ত। এর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। আল হিলালের হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলছিলেন সেখানে।
মঙ্গলবার রাতে পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যেখানে জোতা ও প্রয়াত সাবেক পোর্তো অধিনায়ক জর্জ কস্তাকে সম্মান জানানো হয়। কস্তা ৫ আগস্ট হৃদরোগে মারা যান, তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোসহ পর্তুগালের পুরো ২৩ সদস্যের স্কোয়াড উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। সেখানে দলের পক্ষ থেকে আবেগঘন বক্তব্য দেন নেভেস। নেভেস বলেন, ‘দিয়াগোকে এখানে আমাদের সঙ্গে রাখতে, আমাদের দলে রাখতে আমি ও পুরো দল সবকিছু করতে পারি। ধন্যবাদ, জর্জ ও দিয়াগো। তোমরা চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জোতার স্ত্রী রুতে কারদোসো এবং তার বাবা-মা। তাদের হাতে একটি বিশেষ সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া এফপিএফ সদর দপ্তরে উন্মোচন করা হয় ব্রোঞ্জের ফ্রেমে বাঁধানো জার্সি, যেখানে ছিল জোতার নাম লেখা তার ২১ নম্বর জার্সি এবং কস্তার ২ নম্বর জার্সি।
এফপিএফ সভাপতি পেদ্রো বলেন, ‘একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন তার ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়ে বেঁচে আছে। এটি তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দায়িত্ব, যারা এই প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। দিয়াগো জোতা ও জর্জ কস্তার মতো মানুষ, যারা ফুটবলকে ভালোবাসতেন, দেশকে ভালোবাসতেন, জাতীয় দলকে ভালোবাসতেন। যারা সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের পতাকাকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।’
জোতা পর্তুগালের হয়ে ৪৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৪টি। এছাড়া তিনি দেশের হয়ে ২০১৯ ও ২০২৫ সালে উয়েফা নেশনস লিগ জিতেছেন।