হতাশা লুকালেন না জামাল ভূঁইয়া

দেশের ফুটবলের অন্যতম কান্ডারী জামাল ভূঁইয়া। ফুটবলে আজকের যে বিপ্লব তার শুরুটা হয়েছিল তার হাত ধরেই। ডেনমার্ক ছেড়ে ছুটে এসেছিলেন লাল-সবুজের মায়ায়। ক্যারিয়ারের শেষের পথে আছেন জামাল। তবে এখনো শেষ হয়ে যাননি তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের সবশেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই বসে থাকতে হয়েছে বেঞ্চে।
বাংলাদেশ সবশেষ তিন ম্যাচ খেলেছে ভারত, ভুটান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। এই তিন ম্যাচের মধ্যে শুধু ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন জামাল। ওই ম্যাচে তার অ্যাসিস্ট থেকেই গোল করেছিলেন হামজা চৌধুরি। পরের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি কর্ণার পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেগুলোর কোনোটাই কাজে লাগাতে পারেনি। এরপরও জামালকে বদলি হিসেবে নামাননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। এর আগে ভারতের বিপক্ষেও বেঞ্চে বসেছিলেন তিনি।
আগামী মাসে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের জন্য কাবরেরার অধীনে ক্যাম্প করছে জাতীয় দল। সেখানে আছেন জামালও। অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়, লুকিয়ে রাখেননি হতাশার কথা। অকপটে স্বীকার করেছেন গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে মাঠে নামতে না পারার হতাশার কথা।
মাঠের লড়াইয়ের আগে পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী ৩৫ বছর বয়সী জামাল। তিনি বলেন, ‘এখানে অনুশীলন ভালো হচ্ছে। আমি ফিট হয়ে যাব। ইনশাল্লাহ আমরা (নেপালে) জিতব। এবার আমরা জিততে পারি। যারা আছে তাদের পারফর্ম করতে হবে। কারা খেলবে এটা কোচের সিদ্ধান্ত। শেষ তিন ম্যাচে আমি শুধু এক ম্যাচে খেলেছি। ভুটানের বিপক্ষে একটি অ্যাসিস্ট করেছি। পরবর্তী ম্যাচে আমি খেলব কি না, এটা কোচের সিদ্ধান্ত। তবে অবশ্যই (আগের তিন ম্যাচের দুটিতে) খেলতে না পেরে খারাপ লেগেছে।’
সব জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানিয়ে জামাল বলেন, ‘ফুটবলার হিসেবে আমি খেলতে চাই। ফুটবলে এমনটা স্বাভাবিক। সব জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আপনাদের এখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে, তাই না? আমাদের দল ইতোমধ্যে তরুণ। কোচের সামনে তাদের পারফর্ম করার একটা ভালো সুযোগ (নেপাল সফর)।’
জাতীয় দলের ক্যাম্পে এখনো যোগ দেয়নি বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা। জামালের মতে, জাতীয় দলে এর প্রভাব পড়বে। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন তিনি। জামাল বলেন, ‘অবশ্যই এটা একটু প্রভাব ফেলবে। তবে যারা আছে তারা ভালো অনুশীলন করছে। এটা অবশ্য বসুন্ধরা কিংস ও বাফুফের ব্যাপার, আমার না।’