প্রতিদিন ১০০-১৫০ ছক্কা মারা সেই পাকিস্তানি ব্যাটার অবসর নিলেন

পাকিস্তানের মারকুটে ব্যাটার হিসেবে পরিচিত আসিফ আলি। অনেকটা সময় জুড়েই আলোচনার বাইরে তিনি। হয়ত আর আলোচনায় আসতেও চান না তিনি। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন আসিফ। সোমবার রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
অবসর নিয়ে আবেগঘন বার্তায় আসিফ আলি লিখেন, ‘পাকিস্তানের জার্সি গায়ে জড়ানো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব, আর দেশের হয়ে মাঠে নামা ছিল সবচেয়ে সম্মানজনক অধ্যায়। অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই—এই পথচলার জন্য।’
আন্তর্জাতিককে বিদায় জানালেও ঘরোয়া ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা নিয়েই আমি ঘরোয়া ও লিগ ক্রিকেটে খেলে যাব।’
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক আসিফের। এরপর পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন ২১টি ওয়ানডে ও ৫৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আসিফ নিজের সামর্থের প্রমাণ দিয়েছিলেন বৈশ্বিক দুই টুর্নামেন্টে। যার প্রথমটি ছিল ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ৪ ছক্কায় ১২ বলে ২৪ রানের সমীকরণ মিলিয়েছিলেন মাত্র ৭ বলে। পরের বছর এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ৮ বলে ১৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে পৌঁছে দেন ফাইনালে।
আসিফ আলির পাওয়ার হিটিংয়ের রহস্য নিয়ে নানা মিথ ঘুরে বেড়ায় ইন্টারনেটে। তবে, এর বাইরে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন পাওয়ার হিটিংয়ের গল্প। ২০২২ এশিয়া কাপের আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণত প্রতিদিন ১০০–১৫০ ছক্কা মারতে অনুশীলন করি, যাতে ম্যাচে ৪–৫টি ছক্কা মারতে পারি।’
পাকিস্তান দলে ফিনিশারের রোলে খেলতেন আসিফ। তবে অনেকেই মনে করেন, প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও দলে সেভাবে সুযোগ মেলেনি তার। ফলে হার্ডহিটার এই ব্যাটারের সামর্থ্য পুরোপুরি বিকশিত হয়নি। পরিসংখ্যানও অবশ্য সেই কথাই বলে। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসপ্রতি গড়ে মাত্র ৭টি বল খেলেছেন তিনি।
জাতীয় দলের হয়ে আসিফ আলি সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালে মেলবোর্নে ভারতের বিপক্ষে। এরপর ২০২৩ এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সারির দলে ছিলেন। সেই হিসেব করলে তার শেষ ম্যাচ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।