মৌসুমের প্রথম ডার্বিতেই বড় হার রিয়ালের

লিগে আগের ছয় ম্যাচেই জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। দুঃসময় পেরিয়ে সুখের ছোঁয়া পেতে বসেছিল মাদ্রিদ সমর্থকরা। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য সেই পথচলা আর বেশিদূর আগাতে পারল না। মৌসুমের প্রথম ডার্বিতেই হেরে বসল জাবি আলোন্সোর দল। আতলেতিকোর কাছে হেরে মৌসুমের প্রথম হার দেখল লস ব্লাঙ্কোরা।
আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) লা লিগের ম্যাচে আতলেতিকোর বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল রিয়াল। ঘরের মাঠ মেত্রোপলিতানোয় ৫-২ গোলে জিতেছে দিয়েগো সিমেওনের দল। মৌসুমে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ।
হারলেও অবশ্য পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থাকছে রিয়াল। সাত ম্যাচে ৬ জয়ে ১৮ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ কম খেলে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আছে বার্সেলোনা। আর সাত ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
ম্যাচে বল পজেশনে এগিয়ে থাকলেও গোলের জন্য শট নিতে পারেনি কিলিয়ান এমবাপ্পে-ভিনিসিয়াস জুনিয়র-আর্দা গুলাররা। ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের মাত্র ছয়টি শট নিতে পারে রিয়াল। যার মাত্র দুটি লক্ষ্যে থাকে। বিপরীতে, ১৪টি শট নিয়ে সাতটিই লক্ষ্যে রাখে আতলেতিকো।
আক্রমণাত্মক ফুটবলে ফলাফলও দ্রুতই পেয়েছে আতলেতিকো। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। গিলিয়ানো সিমেওনের ক্রসে হেডে গোলটি করেন ডিফেন্ডার হবাঁন লু নহমাঁ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি সময় নেয়নি রিয়াল। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে গোলের জন্য প্রথম শটেই এগিয়ে যায় লস ব্লাঙ্কোরা। জাল খুঁজে নেন রিয়ালের কান্ডারি এমবাপ্পে। ডি-বক্স থেকে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এ নিয়ে লিগে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। চলতি মৌসুমে গোলের হিসাবে লিগে এটি এমবাপ্পের অষ্টম গোল। আর সবপ্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০ গোল করলেন রিয়ালের জার্সিতে।
প্রথমার্ধেই লিডও নিয়ে নেয় আলোন্সোর দল। ৩৬ মিনিটে স্কোরলাইন ২-১ করেন আর্দা গুলার। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বাইলাইনের কাছে দুজনের চ্যালেঞ্জ সামলে কাটব্যাক করেন ভিনিসিউস। সেই বল পেয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন গুলার। চলতি মৌসুমে এটি তার তৃতীয় গোল।
প্রথমার্ধেই অবশ্য সমতা ফেরায় আতলেতিকো। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কোকের ক্রসে নিখুঁত হেডে সমতা টানেন সরলথ।
দ্বিতীয়ার্ধটা রিয়ালের জন্য শুধুই হতাশার। মাঠে ফেরার চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় আতলেতিকো। ৪৯ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আসা ক্রস ঠেকাতে গিয়ে অনেক উঁচুতে পা তুলে নিকো গনসালেসের মুখে আঘাত করেন গুলার। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে জাল খুঁজে নিতে কোনো ভুল করেননি জুলিয়ান আলভারেজ।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভারেজ। ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কোর্তোয়া ঝাঁপিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও আটকাতে পারেননি।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আরও এক গোল হজম করে রিয়াল। আলেক্স বায়েনার পাস ডি-বক্সে পেয়ে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন বদলি নামা গ্রিজমান।