কেমন হচ্ছে তামিমবিহীন বিসিবি নির্বাচন?

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) এক যুগেরও বেশি সময় রাজত্ব করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। এরপর বছর খানেক চলেছে আগের কমিটি দিয়েই।
আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিসিবি নির্বাচন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে সবাই ভেবেছিলেন বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন হবে এবার।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও বিসিবির এই সর্বশেষ কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সেই আভাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু কদিন যেতেই সবকিছুতে আলোচনায় যেন ভাটা পড়ে যায়। অনিয়মের অভিযোগ তুলতে শুরু করেন তামিম। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়ান তিনি।
এরপর নির্বাচন পেছানো নিয়ে কয়েকদফা সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো কিছুই ফলপ্রসূ হয়নি। তামিম ইকবালসহ ২২ জন প্রার্থীকে ছাড়াই রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু কেমন হচ্ছে সেই নির্বাচন?
নির্বাচনে যে আলোচনা কিংবা উন্মাদনা ছিল, সেটি এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে নির্বাচনি মাঠে অলস সময় পার করতেই দেখা যাচ্ছে সবাইকে। সেভাবে দেখা মিলছে না ভোটারদের। ফলে নির্বাচনের যে আমেজ সেটি অনেকটাই অনুপস্থিত। অল্প কয়েকজন ভোটারের অপেক্ষায় বসে আছেন সবাই।
কারণ ইতোমধ্যে ক্যাটাগরি-১ এ ১০ পরিচালকের ৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ২ পদে লড়ছেন দুই বিভাগের পাঁচজন পরিচালক। যেখানে ভোট দেবেন শুধু ওই দুই বিভাগের ভোটাররা।
ক্যাটাগরি-২ থেকে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত না হলেও অনেকটাই বলে দেওয়া যায় কারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হচ্ছে। এই ক্যাটাগরিতে ১২ পরিচালক পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৩ জন প্রার্থী। অর্থাৎ মাত্র একজন প্রার্থী পরাজিত হবেন। অন্যদিকে, ক্যাটাগরি-৩ এ এক পদের বিপরীতে লড়ছেন দুইজন প্রার্থী।
এর মধ্যে আবার তামিম না থাকায় বুলবুল যে সভাপতি হচ্ছেন সেটি নিয়েও সংশয় নেই। ফলে নির্বাচনের যেই আমেজ শুরুতে দেখা গিয়েছিল, শেষে এসে সেটি যেন হারিয়ে গেল।