ইউক্রেন বিষয়ে রুশ সিদ্ধান্তের নিন্দা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের স্বঘোষিত দুটি প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, পুতিনের এ পদক্ষেপ মিনস্ক শান্তি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক মতে সম্মত হয়ে বলেছেন যে, এ পদক্ষেপ জবাবহীন, ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাঁদের আলোচনা শেষে জার্মান চ্যান্সেলরের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপের যে দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি রাশিয়া দিয়েছে, সেখানে অর্থনৈতিক অবরোধের ঘোষণা দিয়ে বলেছে, প্রয়োজন হলে তারা আরও অবরোধ দিতে প্রস্তুত।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পুতিনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার স্পষ্ট লঙ্ঘন।
ন্যাটো জোটের প্রধান জেন্স স্টলেনবার্গ বলেছেন, রাশিয়ার এই উদ্যোগ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখন্ডতাকে আবারো খাটো করলো। একই সঙ্গে এটি মিনস্ক চুক্তিরও লঙ্ঘন করলো।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া মূলত ইউক্রেনে হামলার অজুহাত খুঁজছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই জ্যেষ্ঠ সদস্য উরসালা ভন দার লিয়েন এবং চার্লস মাইকেল টুইটারে এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুতিনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের তীব্র লঙ্ঘন।
তাঁরা বলেন, ‘ইইউ এবং এর অংশীদাররা যৌথভাবে ঐক্য, দৃঢ়তা ও ইউক্রেনের সংহতির সংকল্পসহ এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানাবে।’
এদিকে সাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক আশঙ্কা করে বলেছেন, ইউক্রেন সংকট ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলীয় বলকান এলাকায়।
রুমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবিলম্বে তার দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার রাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউরোপের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন।