জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর চলতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বিশ্বব্যাপী সংকটে জেরে কয়েক ডজন শরণার্থী শিবিরে অপুষ্টির মাত্রা তীব্রভাবে বেড়ে গেছে। এসব শরণার্থী শিবিরের বেশির ভাগই আফ্রিকায়।

ইউএনএইচসিআর-এর ‘২০২১ বার্ষিক জনস্বাস্থ্য—বৈশ্বিক পর্যালোচনা’ গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর-এর কর্মকর্তারা বলছেন—তাঁদের অনুসন্ধানে শরণার্থীদের পুষ্টির অবস্থার ব্যাপক অবনতি দেখা দেওয়ায় তাঁরা উদ্বিগ্ন। কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে ২০২০ সালে বন্ধ হওয়ার পর, গত বছর শরণার্থীদের পুষ্টির অবস্থা পর্যবেক্ষণ আবার শুরু হয়েছে।

কর্মকর্তারা আরও বলছেন, আফ্রিকা অঞ্চলের ১২টি দেশ এবং বাংলাদেশে জরিপ করা ৯৩টি শিবিরের এক-তৃতীয়াংশে তীব্র অপুষ্টির গুরুতর মাত্রা, পুষ্টির অবস্থা এবং ১৪ শতাংশ অঞ্চলে অপুষ্টির মাত্রা প্রাণঘাতী বলে অনুসন্ধানে পাওয়া হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র শাবিয়া মান্টু বলেন, অপুষ্টির হার বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির আগেই এসব তথ্যে রেকর্ড করা হয়েছিল।

তবে, এমন সমস্যা সত্ত্বেও, ইউএনএইচসিআর বলছে—জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিতে উদ্বাস্তুদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে লাভ হয়েছে। ছেচল্লিশটি দেশের সমীক্ষায় দেখা গেছে—৭৬ শতাংশ শরণার্থীকে তারা তাদের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং কার্যত সব শরণার্থী প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুবিধা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের আরেকটি ফলাফলে দেখা গেছে—গত বছরের শেষ নাগাদ ১৬২টি দেশ শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাকরণ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।