রাওয়ালপিন্ডি কমিশনার লিয়াকত আলী চট্টা ‘ভোট কারচুপি’র যে অভিযোগ করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার দৃঢ়তার সঙ্গে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম ডন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী মহসিন নকভি ‘নিরপেক্ষ তদন্তের’ নির্দেশ দিয়েছেন।

পাকিস্তানভিত্তিক গণমাধ্যমটি বলেছে, তাদের দেশের কোনো কর্মকর্তাই ‘নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের’ জন্য রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারকে কোনো নির্দেশ দেননি।

বিজ্ঞপ্তি বলছে, ‘কোনো বিভাগের কমিশনারকে কখনও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিস বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় না বা তারা কখনও নির্বাচন পরিচালনায় সরাসরি ভূমিকা পালন করেন না।’

আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশন যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে তদন্ত করবে।

পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী মহসিন নকভি লিয়াকত আলীর অভিযোগকে ‘নিরপেক্ষ তদন্তের’ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উচ্চ পর্যায়ের সুষ্ঠু ‍ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগকে খতিয়ে দেখা হবে।

এর আগে গণমাধ্যম ডন জানায়, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চট্টা পদত্যাগ করেন। দেশটিতে ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে কারচুপির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন তিনি। একইসঙ্গে রাজনৈতিক চাপে ভুল সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য আমলাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রাওয়ালপিন্ডির ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন লিয়াকত আলী। সেখানে তিনি বলেন, তার ওপর এতো ‘চাপ’ ছিল যে তিনি আজ সকালের নামাজের পর আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘পরে আমি ভেবে দেখলাম, জনসাধারণের সামনে বিষয়গুলো কেন তুলে ধরছি না? আমি কেন হারাম ভাবে মরব?’

একইসঙ্গে লিয়াকত আলী বলেন, ‘সব আমলাদের প্রতি আমার আহ্বান, তারা যেন এসব রাজনৈতিক দলের নেতা, যারা কি না মন্ত্রীত্বের জন্য লড়ছেন, তাদের জন্য এমন ভুল না করেন।’

জিও টিভির যুক্তরাজ্য সংবাদদাতা মুর্তজা আলী শাহ তার এক্স ভেরিফায়েড পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘কমিশনার রাওয়ালপিন্ডি তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের আগে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করার কথা স্বীকার করেছেন।’