ট্রাম্পের সঙ্গে আমার গভীর যোগসূত্র : মোদি

দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘অনেক বেশি প্রস্তুত’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মেয়াদে ট্রাম্প নির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়েও এগোচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। মোদি বলেন, ‘ট্রাম্প ও আমার মধ্যে গভীর যোগসূত্র আছে।’
রোববার (১৬ মার্চ) প্রকাশিত এক পডকাস্টে নরেন্দ্র মোদিকে এসব কথা বলতে শোনা গেছে। সম্প্রতি ভারতসহ বেশকিছু দেশের পণ্যে শুল্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে এ শুল্ক। এতে কৃষি পণ্য থেকে শুরু করে গাড়ি রপ্তানিতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে প্রচারিত এই সাক্ষাৎকার ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে জোরালো সম্পর্কের আভাস দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর গত মাসে প্রথমবার তার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি।
বৈঠকে শুল্ক সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে ২০২৫ সালের শরতকালের মধ্যে একটি প্রাথমিক চুক্তি করতে সম্মত হয় দেশ দুটি। এর মধ্যে দিয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়নে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে দিল্লি ও ওয়াশিংটন।
বৈঠক শেষে দেওয়া ওই সাক্ষাতকারে মোদি বলেন, ‘এ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আগের তুলনায় বেশি প্রস্তুত মনে হয়েছে আমার। এবার তার (ট্রাম্প) একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ রয়েছে। সেটি অনুযায়ীই তিনি প্রতিটি পদক্ষেপ নির্ধারণ করে এগোচ্ছেন।’
এ সময় ট্রাম্পের উদারতা ও বিনয়ের প্রশংসা করে মোদি বলেন, ট্রাম্প যেমন ‘আমেরিকা ফার্স্ট নীতিতে বিশ্বাস করেন, আমিও একই নীতিতে বিশ্বাসী। আমার কাছে সর্বাগ্রে ভারত। এ কারণেই ট্রাম্পের সঙ্গে আমার গভীর যোগসূত্র।’
পডকাস্টে মোদি আলোচকের সঙ্গে তার ব্যক্তিজীবনের শুরুর দিকের ঘটনাপ্রবাহ, কূটনীতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি জানান, চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছে তার প্রশাসন। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতের সেনাদের সংঘর্ষের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়।
এ পরিস্থিতি নিরসনে গত বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। ধীরে ধীরে হলেও দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে বিশ্বাস ও আগ্রহ পুনরায় স্থাপিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।