গাজা দখলে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান হামাসের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ও এর জনগণকে স্থানান্তরের পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, গাজা বিক্রির জন্য নয়। গাজা বৃহত্তর ফিলিস্তিনি স্বদেশের অংশ। খবর এএফপির।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস একটি পরিকল্পনা বিবেচনা করছে, যার অধীনে প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল গাজা অন্তত ১০ বছরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা পরিচালিত একটি ট্রাস্টিশিপের অধীনে থাকবে।
মার্কিন সংবাদপত্রের তথ্যমতে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো অঞ্চলটিকে পর্যটন আকর্ষণ ও উচ্চ প্রযুক্তির কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা।
এই রূপরেখায় গাজার সমস্ত জনসংখ্যাকে সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই স্থানান্তর ‘স্বেচ্ছায়’ অন্য দেশে প্রস্থানের মাধ্যমে হতে পারে, অথবা ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে সুরক্ষিত অঞ্চলে সীমাবদ্ধ করার মাধ্যমেও হতে পারে।
হামাসের আরেকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেন, তারা এই প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা করছেন। তিনি বলেন, আমাদের জনগণকে সরিয়ে দিয়ে দখলদারদের আমাদের ভূমিতে থাকার অনুমতি দেওয়ার এই পরিকল্পনা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের প্রস্তাব ‘অর্থহীন ও অন্যায্য’।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় অভিযান শুরু করার প্রায় দুই বছর পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের একাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর জনসংখ্যার বিশাল অংশ অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাটি প্রথম ফেব্রুয়ারিতে সামনে আসে। এই ধরনের কোনো প্রচেষ্টা ফিলিস্তিনিদের কাছে ১৯৪৮ সালের ‘নাকবা’ বা বিপর্যয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন ইসরায়েল গঠনের সময় বহু ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক তাদের ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।