ওয়াশিংটনকে ‘হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল’ বন্ধ করতে হবে : বেইজিং

চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানে আলোচনায় বসতে হলে চীনকেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। বুধবার (১৬ এপ্রিল) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের উচিত ‘হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল’ বন্ধ করে সমতার ভিত্তিতে সংলাপে বসা। খবর এএফপির।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ানের বরাত দিয়ে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায়, তাহলে তাকে চরম চাপ প্রয়োগ, হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল বন্ধ করতে হবে এবং সমতা, পারস্পরিক সম্মান ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
লিন জিয়ান আরও বলেন, ‘চীনের অবস্থান স্পষ্ট—শুল্কযুদ্ধ বা বাণিজ্যযুদ্ধে কোনো পক্ষই জেতে না। চীন যুদ্ধ চায় না, কিন্তু ভয়ও পায় না।’
চলতি বছর ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা আগে থেকেই আরোপিত শুল্কের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুরুতে ফেন্টানিল সরবরাহ চেইনে চীনের কথিত ভূমিকার অভিযোগ তুলে তিনি ২০ শতাংশ শুল্ক বসান। এরপর ‘অন্যায্য বাণিজ্যনীতির অভিযোগে আরও ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। তবে কিছু প্রযুক্তিপণ্যের—যেমন স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড় দিয়েছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার বলেছে, এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব চীনের। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিটের পাঠ করা ট্রাম্পের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোটা বিষয় এখন চীনের কোর্টে। চীন আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য। আমরা চীনের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য নই।