ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি মিসরের

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনাকে ‘রেড লাইন’ আখ্যায়িত করেছে মিসর। কায়রো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কোনো পক্ষই মিসরের জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারবে না। খবর সিএনএনের।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সিএনএনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি বলেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ কমাতে মিসর বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করছে। তবে গাজা থেকে ব্যাপকভাবে ফিলিস্তিনিদের দেশান্তর কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, “আমরা এটি গ্রহণ করব না, এতে অংশ নেবো না এবং এটি ঘটতে দেবো না। বাস্তুচ্যুতি হবে গাজাবাসীদের জন্য একমুখী টিকিট, যা শেষ পর্যন্ত তাদের ন্যায্য দাবিকে ধ্বংস করে দেবে।”
ইসরায়েল এরই মধ্যে কয়েকটি দেশকে গাজাবাসীদের গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে। দক্ষিণ সুদান, সোমালিল্যান্ড, ইথিওপিয়া, লিবিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার নাম উল্লেখ করেছে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তবে এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন কতদূর এগিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যেই দক্ষিণ সুদান ও সোমালিল্যান্ড এমন আলোচনা অস্বীকার করেছে।
গাজার একমাত্র প্রবেশপথ রাফাহ সীমান্ত মিসরের নিয়ন্ত্রণে। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সীমান্তে কয়েক হাজার ট্রাক খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মিসরের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এসব সাহায্যের মধ্যে অনেকগুলো পণ্য ইসরায়েলি সেনারা বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছে নানা অজুহাতে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেলাত্তি সতর্ক করে বলেন, “ফিলিস্তিনিদের যদি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়, তাহলে সেটিই হবে ফিলিস্তিনি ইস্যুর সমাপ্তি। আমরা আমাদের সীমান্তে কোনো পক্ষকে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ঝুঁকি নিতে দেবো না।”
তিনি আরও জানান, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে ইসরায়েল এখনও দুই-রাষ্ট্র সমাধানে আন্তরিক নয় বলে মন্তব্য করেন মিসরের শীর্ষ এই কূটনীতিক।