সকল জিম্মিকে মুক্ত করতে আলোচনা শুরুর নির্দেশ নেতানিয়াহুর

অবশিষ্ট সকল জিম্মিকে মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের কাছে গ্রহণযোগ্য শর্তে এই আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে ইসরায়েলের গাজা ডিভিশনের সদর দফতর পরিদর্শনের সময় এক ভিডিও বিবৃতিতে নেতানিয়াহু এসব কথা বলেন। খবর বিবিসির।
নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের সকল জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা গাজা সিটিতে একটি বড় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। আমি হামাসকে পরাজিত করা ও গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পরিকল্পনা অনুমোদন করতে এসেছি। হামাসকে পরাজিত করা এবং সকল জিম্মিকে মুক্ত করা- এই দুটি কাজ একসঙ্গে করতে হবে।
তবে পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানাননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
গত শনিবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ইসরায়েলি সকল জিম্মিকে একেবারে মুক্তি দেওয়া হলে তবেই একটি চুক্তিতে সম্মত হবে দেশটি। যুদ্ধ শেষ করার শর্তগুলোর মধ্যে হামাসকে নিরস্ত্র করা, গাজাকে সামরিকমুক্ত করা, গাজার পরিধি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে আনা এবং হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ছাড়া একটি নতুন সরকার গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ইসরায়েল ধারণা করে, ২২ মাসের যুদ্ধে কয়েক ধাপে বন্দি বিনিময়ের পর অবশিষ্ট ৫০ জন জিম্মির মধ্যে ২০ জন এখনও জীবিত আছেন।
এর আগে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল হামাস। যেখানে অর্ধেক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নেতানিয়াহু সেই প্রস্তাব মেনে নেননি। হামাসের অভিযোগ, নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তিতে পৌঁছানোর পথ আটকে দিচ্ছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক বোমা হামলা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটির বাসিন্দাদের দক্ষিণের আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যাওয়া ঘোষণা দিয়েছে। তবে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়েছিল। এরপরই এই যুদ্ধ শুরু হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় কমপক্ষে ৬২ হাজার ১৯২ জন নিহত হয়েছেন।