গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৯, অনাহারে মৃত্যু আরও ৫৭ জনের

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় গতকাল শনিবার (৩ মে) একদিনে তিন শিশুসহ ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলে বাধায় গাজা সীমান্তে আটকে আছে খাবার, পানি এবং ওষুধবাহী ট্রাক। এতে অনাহারে প্রাণ গেছে আরও ৫৭ ফিলিস্তিনির।
দেশটির সরকারি অফিসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
গত শুক্রবার (২ মে) গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ‘সম্পূর্ণ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’ পৌঁছেছে বলে সতর্ক করে দেয় রেডক্রস। যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েল দুই মাস ধরে সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রেডক্রস এক বিবৃতিতে বলেছে, অবিলম্বে গাজায় পুনরায় সহায়তা প্রবেশের সুযোগ না দিলে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) গাজায় তাদের খাদ্য, ওষুধ ও জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী সরবরাহের মতো কর্মসূচি চালু রাখতে পারবে না।
ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ২৪ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। গত ২ মার্চ গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এর কয়েক দিন পর দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে গাজায় আবারও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় জাতিসংঘ বারবার মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে আসছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার ৪৯৫ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ জন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা আরও হাজার হাজার মানুষ মৃত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করা হয়েছিল।