গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত আরও ২৩

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (১০ মে) ভোর থেকে এ হামলা শুরু করে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আল-জাজিরার।
শনিবার সন্ধ্যায় মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হন এবং আরও কয়েকজন আহত হন। তাঁবুটিতে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল।
এর আগে, শনিবার সকালে গাজা সিটির সাবরা এলাকায় একটি পরিবারকে লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এতে তালিব পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হন।
ওই পরিবারের সদস্য ওমর আবু আল-কাস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “তাঁবুর ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় তিন শিশু, তাদের মা এবং পিতা ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই হামলা কোনও পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই করা হয়।”
একইদিনে গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় ড্রোন হামলায় ছয়জন এবং শেখ রাদওয়ান এলাকায় জাক্কুত পরিবারের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বোমা বর্ষণে একজন নিহত হন।
গাজার দক্ষিণে রাফাহ উপকূলে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ‘ভারী গুলি’ ছোড়ে। এতে মোহাম্মদ সাঈদ আল-বারদাউইল নামের এক ব্যক্তি নিহত হন এবং আল-মাওয়াসি অঞ্চলে আরও দুইজন আহত হন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১২৪ জন আহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ হাজার ৮১০ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ১২৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৩ জনে পৌঁছেছে।