যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স-কানাডার বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত’ করার অভিযোগ ইসরায়েলের

গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপের’ হুঁশিয়ারি দেওয়ায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই চিকলি অভিযোগ করেন, এই তিন দেশের নেতারা তাদের বক্তব্যে ‘সন্ত্রাসী শক্তিকে উৎসাহিত’ করেছেন।
স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের কর্মীদের লক্ষ্য করে হওয়া গুলির ঘটনাটির উল্লেখ করে চিকলি বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দিয়েছিল। এই শব্দগুলো ‘শান্তির জন্য নয় বরং ঘৃণায়’ পরিণত হয়েছে এবং ইসরায়েলকে শয়তান প্রমাণ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। যারা এই স্লোগান দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ‘ইহুদি-বিদ্বেষের প্রতিধ্বনি’ তোলার অভিযোগ করেন তিনি।
চিকলি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই পশ্চিমা বিশ্বের সেই সব দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, যারা এই ঘৃণার পেছনে সমর্থন যোগাচ্ছেন – তা তোষণের মাধ্যমে হোক, দ্বৈত মানদণ্ডের মাধ্যমে হোক বা নীরবতার মাধ্যমে হোক।’
ইসরায়েলের প্রবাসী মন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘তিন নেতা ‘ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে, নৈতিক লাল রেখা টানতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসের শক্তিকে উৎসাহিত করেছেন। এই কাপুরুষতার একটি মূল্য আছে – এবং সেই মূল্য ইহুদি রক্তে পরিশোধ করা হচ্ছে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ মে) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন। ওই বিবৃতিতে তারা গাজায় ইসরায়েলের নতুন সামরিক অভিযানকে ‘সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপের’ হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
তবে ওয়াশিংটন ডিসিতে ঘটে যাওয়া হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার। তিনি বলেন, ‘ইহুদিবিদ্বেষ ভালো কাজ নয়। এটি যেখানেই আবির্ভূত হোক না কেন, আমাদের তা নির্মূল করতে হবে। তিনি নিহতদের ‘সহকর্মী, পরিবার ও প্রিয়জনদের’ প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ‘সর্বদা ইহুদি সম্প্রদায়ের পাশে’ থাকার অঙ্গীকার করেছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল জিউইশ মিউজিয়ামের বাইরে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী গুলিতে নিহত হন। তারা হলেন- ইয়রন লিশচিনস্কি ও সারা লিন মিলগ্রিম।