ইরানে হামলার উদযাপন করলেও পেন্টাগনের হাতে নেই ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন সামরিক হামলার পর পেন্টাগন থেকে ‘অবিশ্বাস্য ও অপ্রতিরোধ্য সাফল্যের’ জোরালো দাবি করা হয়েছে। তবে এই দাবির পক্ষে সুনির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতির তেমন কোনো প্রমাণ নেই।
হামলার পর আজ রোববার (২২ জুন) সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সুবিধাগুলো ‘সম্পূর্ণ এবং পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন’ করা হয়েছে। তবে পেন্টাগনের ব্রিফিংয়ে বারবার বলা হয়েছে, হামলার ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন এখনও চলছে। খবর বিবিসির।
এই দুটি বক্তব্যের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন চলমান থাকা সত্ত্বেও এত বড় সাফল্যের দাবি কীভাবে করা সম্ভব। বিবিসির প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা লিস ডুসেটও মন্তব্য করেছেন, ‘বক্তৃতা জোরালো ছিল, কিন্তু প্রমাণ ছিল কম বা অস্তিত্বহীন।’
পেন্টাগন কেবল বোমারু বিমানের রুট ম্যাপ সরবরাহ করলেও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কোনো চিত্র বা ক্ষতির সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। বিবিসি নিজস্ব অনুসন্ধানে ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার উপরিভাগের স্যাটেলাইট ছবি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে এসব ছবিতে হামলার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে হামলার প্রকৃত অর্জন কী, তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও গণমাধ্যমে ইরানকে সতর্ক করে বলছেন, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘কয়েক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, যতক্ষণ না হামলার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে।