ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ‘ব্যর্থ’ ইসরায়েল-আমেরিকা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক সামরিক অভিযান সত্ত্বেও এই যুদ্ধে ঘোষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। তেহরানের সেন্টার ফর মিডল ইস্ট স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক আব্বাস আসলানির মতে, ইসরায়েল ও আমেরিকা উভয়ই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস এবং ‘সরকার পরিবর্তন’ ঘটানোর যে লক্ষ্য নিয়ে এই সংঘাতে নেমেছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসলানি বলেন, আমরা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে দেখেছি। কিন্তু দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল সেই স্থাপনা ও সরঞ্জামগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
এই গবেষক জোর দিয়ে বলেন, ইরান তার পারমাণবিক উপাদানগুলো একটি সুরক্ষিত স্থানে স্থানান্তরিত করেছে। এবং এর জ্ঞান ও প্রযুক্তি উভই অক্ষত আছে। এছাড়া ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ধ্বংস হয়নি, যার প্রমাণ আজকের ইসরায়েলে তাদের সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
এই সংঘাতকে ইরান এবং ইসরায়েল ও তার অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আসলানি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো চুক্তি অস্বীকার করেছিলেন, যা তেহরানের সতর্ক অবস্থানকে তুলে ধরে। যদিও পরবর্তীতে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার খবর দিয়েছে। তবে আসলানির মন্তব্য ইঙ্গিত দেয়, ইরান এই যুদ্ধবিরতিকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যর্থ একটি সামরিক প্রচেষ্টার ফল হিসেবে দেখছে।
আসলানি আরও মনে করেন, স্বল্পমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অর্থপূর্ণ’ আলোচনা সম্ভব নয়। কারণ পারমাণবিক আলোচনা চলাকালীন সময়েই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছে। সামগ্রিকভাবে, তেহরানের এই মূল্যায়ন ইরান-ইসরায়েল-মার্কিন সংঘাতের জটিলতা এবং এর দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের ওপর আলোকপাত করে।