ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
মর্টগেজ জালিয়াতির অভিযোগে ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক চিঠিতে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও ১৯১৩ সালের ফেডারেল রিজার্ভ আইনের ক্ষমতাবলে কুককে “তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত” করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
গত সপ্তাহে মার্কিন ফেডারেল মর্টগেজ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অভিযোগ করে যে, কুক একাধিক মর্টগেজ চুক্তিতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাম্প বলেন, “ফেডারেল রিজার্ভের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুতর। জনগণকে অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে যে যারা সুদের হার নির্ধারণ করেন ও ব্যাংক তদারকি করেন তারা সৎ। কিন্তু আর্থিক বিষয়ে আপনার প্রতারণামূলক আচরণে সে আস্থা আমি রাখি না।”
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, কুকের কর্মকাণ্ড “অপরাধমূলক” হতে পারে এবং এটি তার সততা ও দক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কুক পদত্যাগ না করলে তাকে বরখাস্ত করা হবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কুক দুটি ভিন্ন সম্পত্তিকে নিজের প্রাইমারি হোম হিসেবে দেখিয়ে ব্যাংক নথি ও সম্পত্তির রেকর্ডে ভুয়া তথ্য দিয়েছেন, যাতে কম সুদের হারে ঋণ পান।

এ বিষয়ে লিসা কুক জানান, তিনি তার আর্থিক ইতিহাস সম্পর্কিত নথি সংগ্রহ করবেন এবং বৈধ প্রশ্নের জবাব দেবেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, “একটি টুইটের কারণে আমি পদত্যাগ করব না বা ভয় দেখানো যাবে না।”
ফেডারেল রিজার্ভের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলবে। ফেডের সুদের হার নির্ধারণের ক্ষমতা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বাইরে থাকা মার্কিন অর্থনীতির প্রতি আস্থার অন্যতম ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে কুকের অপসারণ আদালতে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের জন্ম দিতে পারে, কারণ আইন অনুযায়ী ফেড গভর্নরকে অপসারণের জন্য প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই ‘কারণ’ প্রমাণ করতে হয়, যা সাধারণত গুরুতর অনিয়ম বা দুর্নীতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।