ট্রাম্প-মেলানিয়া উঠতেই থেমে গেল চলন্ত সিঁড়ি, তদন্তের দাবি

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সময় চলন্ত সিঁড়ি হঠাৎ থেমে যাওয়ার ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মর্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই ঘটনাকে ট্রিপল সাবোটাজ’ বা ‘ত্রিমুখী অন্তর্ঘাত’ এর অংশ বলে অভিহিত করেছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে চিঠি লিখে তিনটি পৃথক ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন। ঘটনাগুলোর মধ্যে চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়া, টেলিপ্রম্পটার ও সাউন্ড সিস্টেমের ত্রুটি ছিল। খবর আল জাজিরার।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার ভাষণ দেওয়ার ঠিক আগে ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প চলন্ত সিঁড়িতে পা রাখার পরপরই সিঁড়িটি হঠাৎ থেমে গেলে তাদের হেঁটে উপরে উঠতে হয়।
ট্রাম্প লেখেন, এটা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয় যে মেলানিয়া এবং আমি সামনের দিকে ইস্পাতের ধাপগুলোর তীক্ষ্ণ প্রান্তে মুখ থুবড়ে পড়িনি। আমরা দুজনেই হাতল শক্ত করে ধরে রেখেছিলাম, নইলে একটি বিপর্যয় ঘটে যেত।
ট্রাম্প এই ঘটনাটিকে ‘পুরোপুরি অন্তর্ঘাত‘ বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে ‘দ্য সানডে টাইমসে‘ প্রকাশিত একটি নিবন্ধের দিকে ইঙ্গিত করেন। যেখানে বলা হয়েছিল, জাতিসংঘের কর্মীরা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিব্রত করার জন্য চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ করে রসিকতা করেছিল। ট্রাম্প আরও লেখেন, যারা এটি করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, ভাষণের সময় সাউন্ড সিস্টেম ‘পুরোপুরি বন্ধ‘ ছিল। দোভাষীর ইয়ারপিস ব্যবহার না করলে দর্শকরা কিছুই শুনতে পারছিল না। জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজও ট্রাম্পের এই তদন্তের দাবিকে সমর্থন করেন। একই সঙ্গে ঘটনাগুলোকে ‘অগ্রহণযোগ্য‘ ও ‘দুর্বল প্রতিষ্ঠানের লক্ষণ‘ বলে অভিহিত করেন, যা গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক দাবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য জাতিসংঘের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

তবে এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রতিনিধিদলের একজন ভিডিওগ্রাফার ভুলবশত জরুরি ‘স্টপ ফাংশন‘ চালু করায় চলন্ত সিঁড়িটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আরেক মুখপাত্র ফারহান আজিজ হক বলেছিলেন, টেলিপ্রম্পটারটি ট্রাম্পের প্রতিনিধি দলেরই ছিল। তিনি এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন।