পদ্মার ভাঙনে বিজিবি ফাঁড়ি বিলীন, আতঙ্কে স্থানীয়রা

পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি সীমান্ত ফাঁড়ি। গত কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার আতারপাড়া এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভারত সীমান্তঘেঁষা উদয়নগর বিজিবি ফাঁড়ির বেশিরভাগ অংশই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ওই এলাকার বেশকিছু ঘরবাড়ি ও আবাদী জমিও চলে গেছে ভয়াল পদ্মার পেটে। এর ফলে চরম ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে হঠাৎ করেই বিজিবির উদয়নগর সীমান্ত ফাঁড়িটির দুই-তৃতীয়াংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় বলে জানা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এর অবশিষ্ট অংশও কয়েক দিনের মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে পারে। পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করায় প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বসতভিটা ও জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান ক্ষতিগ্রস্ত উদয়নগর সীমান্ত ফাঁড়িটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় বিওপিটির ২২ থেকে ২৫ জন সদস্য ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পার্শ্ববর্তী চর চিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, সীমান্তে টহল কার্যক্রমে কিছুটা প্রভাব পড়লেও বিজিবির সব অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, নিরাপত্তা কার্যক্রমেও কোনো শূন্যতা তৈরি হয়নি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, তিন মাস আগে থেকেই ভাঙনের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। ভাঙন ঠেকাতে জিওব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙনের তীব্রতায় তা কোনো কাজে আসেনি। উদয়নগর বিওপিটি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সীমান্ত অংশটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।