যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের দুর্দশার কথা জানালেন জেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর ফুঁসে উঠেছে সেখানকার জনগণ। চলছে বিক্ষোভ। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন চার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বিল ক্লিনটন ও জিমি কার্টার। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন হলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জেন ফোন্ডা।
জেন ফোন্ডা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে শেতাঙ্গরা অধিক সুবিধা ভোগ করেন, আর কৃষ্ণাঙ্গরা তা পান না। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়। ভারতের সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত ২৫ মে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যার শিকার হন। এরপর শুরু হয় জনসাধারণের আন্দোলন। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্রতর হয়। এরপর থেকে সেখানে টানা বিক্ষোভ চলছে। জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক কর্মকর্তাও।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেন ফোন্ডা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গরা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত। বলেন, ‘এমনকি হতদরিদ্র শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিও বিশেষ সুবিধা পান।’
৮২ বছর বয়সী অভিনেত্রী জেন ফোন্ডা বলেন, ‘যেহেতু আমরা সাদা, আমরা অগ্রাধিকার পেয়ে আসছি। এমনকি আমাদের দরিদ্রতম ব্যক্তিও বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন। আমাদের সেটা উপলব্ধি করা প্রয়োজন এবং আমাদের বুঝতে হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্ণবৈষম্য রয়েছে—বিভিন্ন নীতি, ব্যাকিং নীতি, বন্ধক নীতি।’
জেন আরো জানান, আর ওইসব নীতিই কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর মত, শ্বেতাঙ্গদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, নিজেদের বদলাতে হবে।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর বিশ্বাস, ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়’ অতিক্রম করছে যুক্তরাষ্ট্র। সামনেই তাঁর দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ প্রসঙ্গে জেন বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন সামনে। আমরা মহামারি সংকটে আছি, আমাদের জলবায়ু সংকট রয়েছে, আমাদের বর্ণবাদ সংকট রয়েছে এবং আমাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্য, জার্মানি. ফ্রান্স, ডেনমার্ক, ইতালি, ব্রাজিলসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার প্রতিবাদে সরব নেটিজেনরা।