পরিবার থেকে নেপালে শুটিং করার অনুমতি পাইনি : ইরফান

ইরফান সাজ্জাদ। এ প্রজন্মের জনপ্রিয় মুখ। ছোট পর্দা ও বড় পর্দা দুই জায়গাতেই অভিনয় করছেন। বর্তমানে তিনি নেপালে আছেন। বেশকিছু নাটকের শুটিং সেখানে করছেন। সম্প্রতি নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইরফান।
এনটিভি অনলাইন : নেপালে শুটিং কেমন হচ্ছে?
ইরফান সাজ্জাদ : খুব ভালো শুটিং হচ্ছে। আমরা খুব আনন্দ করেই শুটিং করছি। আসাদুজ্জামান আসাদ পরিচালিত ‘একদিন এসেছিল নীরবে’ নাটকটির শুটিং কাল করেছি।নাটকে আমার সহশিল্পী তানজিন তিশা। বাঁধন ড্রিম ভিশনের ব্যানারে নাটকটির কাজ হয়েছে। এ ছাড়া আরো একটি একক ও ছয় পর্বের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। প্রতিদিন শুটিং চলছে।
এনটিভি অনলাইন : গত ১২ মার্চ মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা হওয়ার কারণে অনেক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আপনার মধ্যেও কি নেপালে আসার আগে ভয় কাজ করেছিল?
ইরফান সাজ্জাদ : অনেক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ছিল। সত্যি বলতে পরিবার থেকে নেপালে শুটিং করার অনুমতি পাইনি। যেহেতু এই নাটকগুলোর শুটিংয়ের কথাবার্তা অনেক আগেই চূড়ান্ত ছিল তাই পরবর্তী সময়ে আর না করিনি। কারণ আমার কাছে কমিটমেন্ট অনেক বড় কিছু। পরিবারকে বুঝিয়েছিলাম পরে তাঁরা আর কেউ আমাকে বারণ করেননি।
এনটিভি অনলাইন : নেপাল থেকে ঢাকায় ফিরবেন কবে?
ইরফান সাজ্জাদ : এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ফেরার কথা রয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : এবার অন্য প্রসঙ্গে কথা বলি। শুনলাম এখন একক নাটকে অভিনয় কম করছেন…
ইরফান সাজ্জাদ : একক নাটক এখন বেশিই করছি। এটা সত্যি। এর কারণ একক নাটকে গল্প বাছাই করার সুযোগ থাকে। আমি খেয়াল করেছি, অনেক ধারাবাহিক নাটক ভালোভাবে শুরু হয় পরে গল্পের ধারাবাহিকতা শুরুর মতো ভালো থাকে না। অন্যদিকে, একক নাটকের সাড়াও অনেক ভালো পাওয়া যায়। নাটকের চিত্রনাট্য দুই কিংবা তিনদিন আগে পাওয়া যায়। প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ থাকে। আবার খুব যত্ন নিয়ে কাজও করা যায়।
এনটিভি অনলাইন : অভিনয় নিয়ে চলতি বছরের পরিকল্পনা কী?
ইরফান সাজ্জাদ : মানসম্মত কাজের পরিমাণ আরো বাড়াতে চাই। অভিনয়ে আরো মনোযোগী হতে চাই। সত্যি বলতে কি ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো কিছু না করলে টিকে থাকা সম্ভব নয়।