কলকাতার থেকে আমাদের সিনেমার বাজার বড় : গিয়াস উদ্দিন সেলিম

‘শুভ্রা ও অপু চরিত্রের অভিনয় কেমন হয়েছে, এটা দর্শকই যাচাই করবেন।’ এনটিভি অনলাইনকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কথাটি বলছিলেন ‘মনপুরা’খ্যাত পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তাঁর পরিচালনায় দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘স্বপ্নজাল’ মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। দীর্ঘ বিরতির পর ছবি নির্মাণের কারণ, ‘স্বপ্নজাল’ নির্মাণের অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নাইস নূর।
এনটিভি অনলাইন : বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘স্বপ্নজাল’। যৌথ প্রযোজনার ছবি এখন অনেক বেশি নির্মাণ হচ্ছে। আপনি কি যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ করার পক্ষে?
গিয়াস উদ্দিন সেলিম : ছবির গল্পের প্রয়োজনে আমাকে কলকাতায় শুটিং করতে হয়েছিল। আর দরকার হলে যৌথ প্রযোজনার ছবি হবে। কম কিংবা বেশি যৌথ প্রযোজনার ছবি হচ্ছে, এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।
এনটিভি অনলাইন : শুনেছি কলকাতায় ছবির ৩০ ভাগ অংশের শুটিং করেছেন। কলকাতায় ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
গিয়াস উদ্দিন সেলিম : ভালো। দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। কলকাতার টেকনিশিয়ানরা অনেক হেল্পফুল ছিলেন। সব মিলিয়ে খুব আরামে ও নির্বিঘ্নে ছবির শুটিং করেছি।
এনটিভি অনলাইন : সিনেমার বাজার অনুযায়ী বাংলাদেশ নাকি কলকাতা এগিয়ে? আপনার কী মনে হয়?
গিয়াস উদ্দিন সেলিম : কলকাতায় বাঙালি ১০ কোটি, আমরা কিন্তু ১৬ কোটি লোক। এভাবে দেখলে কলকাতা থেকে আমাদের সিনেমার বাজার বড়।
এনটিভি অনলাইন : ‘মনপুরা’ ছবির প্রায় নয় বছর বিরতির পর ‘স্বপ্নজাল’ নির্মাণ করেছেন। কেমন লাগছে?
গিয়াস উদ্দিন সেলিম : ভালো অনুভব করছি। অনেক দেরি হলেও একটা ছবি দর্শকের সামনে হাজির করতে পারছি। ছবিটি নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত।
এনটিভি অনলাইন : ‘মনপুরা’ অনেক জনপ্রিয় ছবি। ‘স্বপ্নজাল’ নিয়ে আপনি কতখানি আশাবাদী? চাপ অনুভব করছেন কি?
গিয়াস উদ্দিন সেলিম : আমি কোনো চাপের মধ্যে নেই। ‘মনপুরা’ মনপুরার মতো। ‘স্বপ্নজাল’ স্বপ্নজালের মতো। আগামীকালের পর বোঝা যাবে যে দর্শক ছবিটি গ্রহণ করল নাকি বর্জন করল।
এনটিভি অনলাইন : ছবিতে শুভ্রা চরিত্রে পরী মণি ও অপু চরিত্রে ইয়াশ রোহান অভিনয় করেছেন। পরী ও ইয়াশকে কেন বাছাই করেছিলেন?
গিয়াস উদ্দিন সেলিম : ছবিটির জন্য আমি ঢাকায় ও কলকাতায় অনেক নায়িকা দেখেছিলাম। কাউকে আমার মনে হয়নি শুভ্রা। অন্যদিকে, পরী মণির কোনো ছবি আমি দেখিনি। এই ছবি নির্মাণের আগে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়ও ছিল না। একদিন আমার টিমের একজন বলেছিলেন, ‘ভাই, পরী মণিকে আপনি দেখেন।’ তারপর যোগাযোগ করে যখন পরী মণিকে দেখতে গিয়েছিলাম, তখন তাঁকে প্রথম দেখেই মনে হয়েছিল সে শুভ্রা।
আর অপু চরিত্রের জন্য রোহানকে অনেক আগে থেকেই আমি ঠিক করে রেখেছিলাম। রোহানকে ছাড়া এই চরিত্রের জন্য আমি কাউকে ভাবতে পারিনি।
এনটিভি অনলাইন : পরী ও ইয়াশের অভিনয় নিয়ে আপনি কি সন্তুষ্ট?
গিয়াস উদ্দিন সেলিম : আমি চাই শুভ্রা ও অপু চরিত্রের অভিনয় কেমন হয়েছে, এটা দর্শকই যাচাই করবেন।
এনটিভি অনলাইন : এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। ‘মনপুরা’র পর ‘কাজলরেখা’ ছবি নির্মাণ করার ঘোষণা আপনি দিয়েছিলেন। ছবিটি না করার পেছনে কোনো কারণ কী ছিল?
গিয়াস উদ্দিন সেলিম : হ্যাঁ, আমি ‘কাজলেরেখা’ করতে চেয়েছি। পরে ছবিটি নির্মাণের জন্য প্রযোজক পাইনি। তাই করা হয়নি। এর বাইরে আর কোনো কারণ নেই। প্রযোজক পেলে আমি ‘কাজলরেখা’ বানাতাম।
এনটিভি অনলাইন : নয় বছর বিরতি নিয়েছেন। তৃতীয় ছবি নির্মাণের জন্যও কি অনেক সময় নেবেন?
গিয়াস উদ্দিন সেলিম : খুব শিগগির নতুন সিনেমার ঘোষণা দেবো।