‘স্বপ্নজাল ছবিতে অভিনয় করে অনেককিছু শিখেছি’

ইয়াশ রোহান। ঢালিউডের নবাগত নায়ক। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে পরী মণির বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর চরিত্রের নাম অপু। ছবিটিতে অভিনয় করার প্রস্তুতি এবং অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইয়াশ রোহান।
এনটিভি অনলাইন : ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে অভিনয়ের আগে আপনার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
ইয়াশ রোহান : আমি পেশাগত অভিনেতা নই। অভিনয় শেখা হয়নি। এমনকি কখনো থিয়েটারও করিনি।যতটুকু অভিনয় পারি ততটুকু মা (অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপু) ও বাবার (পরিচালক নরেশ ভুঁইয়া) জন্যই। আর অন্য সবার অভিনয় দেখে দেখে যতটুকু শিখেছি। দেখুন গিয়াস উদ্দীন সেলিম ও পরী মণিকে সবাই চিনে। অন্যদিকে, আমাকে কেউ চিনে না। আমার প্রস্তুতি তেমন ছিল না। মনে মনে শুধু বলেছি,‘দেখা যাক না কী হয়’। ছবিতে আমার যে চরিত্র দেখানো হয়েছে আমার বয়সও সেই চরিত্রের কাছাকাছি। ছবিতে অপু যে কাণ্ডগুলো ঘটায় সেটা আমার বয়সী অনেক ছেলেরাই করে। এমনকি আমারও এই ধরনের কিছু অভিজ্ঞতা আছে। এই বিষয়গুলো ছবিতে অভিনয় করতে সাহায্য করেছে।
এনটিভি অনলাইন : ছবিটিতে অভিনয় করার প্রস্তাব কীভাবে পেয়েছিলেন?
ইয়াশ রোহান : আমাকে সরাসরি কেউ ছবির জন্য প্রস্তাব দেয়নি। আমার মাকে প্রথম বলা হয়েছিল। মা আমাকে প্রথমে বলেছিল, ‘তোকে স্বপ্নজাল ছবিতে নেওয়া হচ্ছে।’ মায়ের কথা শুনে আমি বলেছিলাম, ‘এটা হয় নাকি!’ একদম ছবির প্রি-প্রোডাকশন শুরু না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করিনি যে আমি স্বপ্নজাল ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছি। প্রি প্রোডাকশন শুরু হওয়ার পর আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি ভালো একটা ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছি।
এনটিভি অনলাইন :ছবিটিতে অভিনয় করে নতুন কী শিখতে পেয়েছেন?
ইয়াশ রোহান : ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে অভিনয় করে অনেককিছু শিখেছি। ছবিতে একসাথে প্রচুর মানুষ কাজ করে।অনেক সময় দিতে হয় এবং সবাই একটা নির্দিষ্ট সময় নিয়ে কাজ করে। আর কাজগুলো যদি সবাই ধৈর্য নিয়ে করে তাহলে খুব ভালো হয়।একা কারো পক্ষে সিনেমা বানানো সম্ভব নয়। টিম ওর্য়াক করে কাজ করতে হয়। স্বপ্নজাল ছবিতে অভিনয় করে কীভাবে টিম ওয়ার্ক করতে হয় আমি এটা শিখেছি এবং কীভাবে ধৈর্য্য ধারণ করতে হয় এটাও শিখেছি।
এনটিভি অনলাইন : শুনেছি ছবির শুটিংয়ের কারণে আপনি পড়াশোনায় কিছুদিন বিরতি নিয়েছিলেন। তখন পরিবারের সমর্থন পেয়েছিলেন কি?
ইয়াশ রোহান :আমি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছি। ছবির শুটিং থাকার কারণে আমার তিনটা সেমিস্টার ড্রপ দিতে হয়েছে। আমি যেহেতু ওপেন ক্রেডিট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এজন্য হয়তো তিনটা সেমিস্টার ড্রপ করতে পয়েছি। আমার পরিবার অনেক সমর্থন দিয়েছে আমাকে।
এনটিভি অনলাইন :বন্ধুরা আপনার অভিনয় দেখে কী প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে?
ইয়াশ রোহান : ভার্সিটিতে বন্ধুরা আমাকে পচাচ্ছে। বন্ধুরা তো কখনো বন্ধুদের ভালো বলে না (হাসি)। আসলে ভার্সিটিতে আমার নাম এখন হয়েছে মজনু। কারণ ছবিতে আমার একটা সংলাপে আছে, ‘আমি মজনু, আমি দিওয়ানা’।
এনটিভি অনলাইন : ছোটবেলায় আপনার কী হওয়ার ইচ্ছে ছিল?
ইয়াশ রোহান : আমার পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাইনি তাই আর পড়া হয়নি।
এনটিভি অনলাইন : অভিনয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ইয়াশ রোহান : পড়াশোনা নিয়মিত করতে চাই। আপতত অভিনয় নিয়ে আমার ভবিষ্যৎ কোনো পরিকল্পনা নেই। দেখা যাক কী হয়!