বিএসএমএমইউর সঙ্গে চীনের হাসপাতালের সমঝোতা চুক্তি সই

চীনের এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট বিখ্যাত ফুওয়াই ইউনান কার্ডিওভাসকুলার হসপিটালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওভাসকুলার বিভাগ।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তি সই করেন ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডুও লিন ও বিএসএমএমইউর কার্ডিওভাসকুলার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী হাসান।
চুক্তির মাধ্যমে হৃদরোগ চিকিৎসার বিষয়ে এ দেশের চিকিৎসকদের চীনে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দরিদ্র হৃদরোগীদের চীনে চিকিৎসাসেবা দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে এ চুক্তিতে।
বিএসএমএমইউর কার্ডিওভাসকুলার বিভাগের চেয়ারম্যান আলী হাসান বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। এর মাধ্যমে ফেলোদের স্কলারশিপ দেওয়া হবে। চীনের নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে আমরা পরিচিত হবো। এ ছাড়া আমরা দরিদ্র রোগীদের তাদের দেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পারব। চুক্তিটি করতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত।’
ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডুও লিন বলেন, ‘ফুওয়াই ইউনান হসপিটালটি এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট। এতে ১২টি ল্যাব রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারকে সই করতে পেরে আমরা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি। এতে নিজেদের মধ্যে জ্ঞানের আদান-প্রদান হবে।’

এশিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসবাউল ফেরদৌস বলেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ব্যাপারে চীন খুব ইতিবাচক। এর ফলে আজকের এই চুক্তি। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের হৃদরোগের চিকিৎসায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় অগ্রগতি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান বলেন, ‘চীনের সঙ্গে অনেক কাজই আমাদের দেশ করছে। তবে স্বাস্থ্য খাতটি একটু উপেক্ষিত ছিল। এ চুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনজন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএসএমএমইউর অধ্যাপক সারফুদ্দিন ও ডা. খালিকুজ্জামান।