বিষণ্ণতা রোধে প্রয়োজন পারিবারিক সহযোগিতা

বিষণ্ণতা রোধে পারিবারিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭১৯তম পর্বে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সোশ্যাল ওয়ার্ক প্রোগ্রামের পরিচালক ড. তানিয়া রহমান।
প্রশ্ন : বিষণ্ণতা কমাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের কী ধরনের ভূমিকা আছে বলে মনে করেন?
উত্তর : বিষণ্ণতার ক্ষেত্রে পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মানুষ যখন বিষণ্ণতায় পড়ে, সব সময় তার পাশে কাউকে চায়। এখানে পরিবার সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। পরিবার যদি সাহায্য করে এবং বিষণ্ণতার প্রতিটি পর্যায়ে বলে, আমি তোমার সঙ্গে আছি, তাহলে আমার পাশে কেউ আছে, পরিবার আছে। এটি তার অনেক বড় শক্তি। এই শক্তি সে কাজে লাগিয়ে তার যে সমস্যাগুলো, এগুলোকে সে সহজে অতিক্রম করতে পারে। প্রতিটি পর্যায়ে পরিবারের উচিত তাকে মনবল দেওয়া। তার যে জায়গায় যেতে হবে, সেই জায়গায় তাকে নিয়ে যাওয়া। তাদের সহযোগিতা দেওয়া। তাকে মানসিক সাহায্য করা। এর পাশাপাশি তাকে আরো কিছু কাজে ব্যস্ত করে দেওয়া। তাদেরও আসলে কিছু জ্ঞানের দরকার আছে। এ ক্ষেত্রে যদি ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কারের (চিকিৎসা সমাজকর্মী) কাছে আসে, তাঁরা হয়তো তাদের কিছু পরামর্শ দিতে পারবেন। কী করে একে ব্যবস্থাপনা করা যাবে, এ সম্পর্কে একটি গাইডলাইন দিতে পারবে। শুধু ব্যক্তিকে নয়, পরিবারকেও থেরাপি দিতে হবে।
প্রশ্ন : একটি ছেলে বা মেয়ে বিষণ্ণতায় চলে যাচ্ছে, এটি সে কীভাবে বুঝবে?
উত্তর : বাচ্চাদের যে বিষণ্ণতা হচ্ছে, সেটি আমরা কীভাবে বুঝব? বাচ্চাটি ছিল অনেক চঞ্চল। হঠাৎ দেখা গেল, সে খুব গম্ভীর, চুপচাপ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে ভাবছে খুব চঞ্চল বাচ্চা, সে বোধ হয় শান্ত হতে শুরু করল। না। আসলে তার ভেতর বিষণ্ণতা কাজ করতে শুরু করছে। হয়তো দেখা গেল যে কাজগুলো সে করতে খুব পছন্দ করত, সে জিনিসগুলো তাকে আর খুব আকৃষ্ট করছে না। বাড়িতে এসে সে মায়ের পাশাপাশি, কাছাকাছি ঘুরঘুর করছে। মা হয়তো ভাবছে, আমাকে সে মিস করছে। কিন্তু সেটি নয়। সে তখন মায়ের সহযোগিতা চাইছে। কারণ, সে বিষণ্ণ। সে জানে, তার কোথায় যেতে হবে। বাচ্চাটি যখন বলছে, তার ভালো লাগছে না। মায়ের দরকার জিজ্ঞেস করা, ‘কেন বাবা, তোমার মন খারাপ?’ তার সঙ্গে কথা বলে সমস্যাকে নির্ণয় করতে হবে।