দুর্ঘটনা-পরবর্তী মানসিক চাপ প্রতিরোধে করণীয়?

দুর্ঘটনা-পরবর্তী মানসিক চাপ বা পিটিএসডি যেন বেশি মাত্রায় না হয়, সে জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৩১তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট কামরুজ্জামান মজুমদার। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : পিটিএসডি পর্যন্ত যেন না হয়, সে জন্য ওই দুর্ঘটনা-পরবর্তী অবস্থায় করণীয় কী?
উত্তর : এ ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে যাঁরা যান, তাঁদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা এমনিতেই সেরে যায়। একটি অংশের সমস্যাটা বেশ কিছুদিন থাকে। ধরেন মাসখানেক থাকল। এরপর আস্তে আস্তে কমে যায়। আরেকটি অংশের সমস্যা অনেক দিন রয়ে যায়।
পিটিএসডি যেন না হয়, সে জন্য যদি তাকে একটি মানসিক সহায়তা দেওয়া যায়, মন খুলে কথা বলতে দেওয়া যায় এবং তাকে বুঝতে সাহায্য করা যায় তার পরিবেশটি নিরাপদ, সে অনিরাপদ ছিল একসময়, তবে এখন সেটি নয়। এখন তার সহায়তার জায়গা আছে। অনেক লোক তাকে সহায়তা করতে পারে। এটি হলে কিন্তু পিটিএসডি বাড়ার আশঙ্কা কম।
মন খুলে কথা বলা—এটি কিন্তু যে কেউ পারে, সাইকোলজিস্ট প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষ যদি সচেতন থাকে যে ওর এ রকম ঘটনা ঘটেছে, কথা বলা দরকার, তাহলেই হয়। তবে জোড়াজুরি করা নয়। তার সঙ্গে তার মতো করেই কথা বলার চেষ্টা করা। সে নিজে থেকেই যেন সব বলতে আসে। পরিবেশটি নিরাপদ, এটি তাকে বুঝতে হবে। তার আশপাশের মানুষ আছে তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য।