রেগে গেলে যে কাজগুলো করবেন না

রাগ হলে আমরা অনেক সময় এমন সব কাজ করে বসি যেটা আদতে পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তোলে। এই কাজগুলো পারিবারিক বা পেশাগত সম্পর্ককে আরো খারাপ করে দেয়। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডট কম জানিয়েছে রাগ হলে যে কাজগুলো করা ঠিক নয়, সেগুলোর কথা।
১. ঘুমাতে যাবেন না
প্রবাদে বলা হয়, রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। এই অবস্থায় ঘুমাতে গেলে নেতিবাচক আবেগগুলো জমা থেকে যায়। বিশেষ করে যারা বেশি আবেগপ্রবণ তাদের বেলায়। এটি পরবর্তীকালে আরো ক্ষতি করে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। রাগ ঠান্ডা হলে ঘুমান।
২. গাড়ি চালাবেন না
রাগ মাথায় নিয়ে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। গবেষণা করে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, রাগ হয়ে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যায়।রেগে গেলে মনোযোগ গাড়িচালনায় থাকে না। কাজেই মাথা গরম করে গাড়ি চালাবেন না।
৩. খাবেন না
নিজেকে শান্ত রাখার জন্য খাবার খেলে এটি উল্টো কাজ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যখন আমরা রেগে যাই তখন অধিকাংশ সময়ই অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করি। আমরা কিন্তু তখন ব্রকোলি খাই না। খেয়াল করে দেখবেন তখন খাই উচ্চ চিনিযুক্ত, উচ্চ চর্বিযুক্ত, কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার। এই সময় এ ধরনের খাবারগুলো ভালোভাবে হজম হতে চায় না। এতে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ ছাড়া এ ধরনের খাবার তো ওজনও বাড়িয়ে দেয় তাই না?
৪. তর্ক করবেন না
রেগে গেলে তর্ক করতে যাবেন না। রেগে গেলে আমরা অধিকাংশ সময়ই তর্কে জড়িয়ে পড়ি। তবে এ সময়টায় তর্ক না করাই ভালো। এতে যুক্তিগুলো ঠিকমতো উপস্থাপন করা যায় না। তাই তখন কথা না বাড়িয়ে রাগ কমার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন।
৫. রাগ-ক্ষোভ ফেসবুকে না
ব্যক্তিগত সম্পর্কই হোক বা পেশাগত বিষয়, অনেকে রেগে গেলে বিষয়টি ফেসবুকে শেয়ার করেন। যেটা একদমই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি পরবর্তীকালে আপনার প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরির কারণ হতে পারে।
৬. ই-মেইল লিখবেন না
রেগে গিয়ে কোনো মেইল করবেন না। একবার আপনার নেতিবাচক চিন্তাগুলো পাঠিয়ে দিলে, সেটি আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এতে আপনার অনুভূতি ভুলভাবেও প্রকাশ হতে পারে। তাই মেইল করার থাকলে শান্ত হয়ে কাজটি করুন।
৭. মদ্যপান নয়
মদ্যপান হয় তো আবেগকে সাময়িকভাবে কমাবে, তবে এটা দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এ সময় অবশ্যই এই মদ্যপান এড়িয়ে যাবেন।
৮. রক্তচাপ পরীক্ষা না করা
দুই ঘণ্টার বেশি তীব্র রাগ স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে যাদের আগে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে। আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে এবং তীব্র রাগ হতে থাকে অনেক্ষণ ধরে, তবে অবশ্যই একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করিয়ে নিন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে গান শুনুন, শিথিল হন বা গভীর শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
৯. খারাপ স্মৃতি বারবার মনে করবেন না
রেগে যাওয়ার বিষয়গুলো বারবার মনে করবেন না। বারবার ভেবে তো কোনো লাভ নেই, তাই না? তাই প্রথমে আগে নিজেকে শান্ত করুন এবং কিছুক্ষণ জায়গাটি থেকে সরে যান। বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ভাবুন। রাগ ঠান্ডা হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন।