জন্মের পর থেকেই শিশুর দাঁতের যত্ন

শিশুর দাঁতের যত্ন খুব জরুরি। নয়তো পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়।
এ বিষয়ে কথা বলেছেন রাজ ডেন্টাল ওয়ার্ল্ড ও রাজ ডেন্টাল সেন্টারের পরামর্শক ডা. আশাফুজ্জোহা রাজ। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৩১৮তম পর্বে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : একটি শিশুর দাঁতের যত্নের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে দাঁত কেমন হবে। তাই শিশুর দাঁতের যত্নের বিষয়ে যদি বলে দেন...urgentPhoto
উত্তর : দাঁত কিন্তু ওঠে শিশুজন্মের ছয় মাস পর থেকে। তবে দাঁত তৈরির প্রক্রিয়া গর্ভাবস্থার ছয় মাস বয়স থেকে শুরু হয়। এ জন্য আমরা গর্ভবতী মায়েদের বলি বেশি করে শাকসবজি খেতে, ক্যালসিয়াম-জাতীয় খাবার খেতে। যাতে করে শিশুর দাঁতের গঠন প্রক্রিয়াটি গর্ভাকালীন অবস্থাতেই ভালো থাকে।
অনেকে ধারণা করেন, বাচ্চাদের দাঁতের জন্মের প্রয়োজন নেই। জন্মের পর থেকেই শিশুকে দাঁতের যত্ন নিতে হবে। কীভাবে? খাবার পর পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে শিশুর মাড়ি মুছে দিতে পারি। আর দাঁত ওঠার পরপরই তিন বছর বয়স থেকে বাচ্চাকে সঠিক পদ্ধতিতে, দাঁত ব্রাশের নিয়মটি শিখিয়ে দিতে হবে। তারপরও কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে চলে আসতে হবে।
কেবল বাংলাদেশই নয়, সমগ্র বিশ্ব এটি জোরালোভাবে দাবি করে যে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে তাকে ডেন্টাল সার্জনের কাছে নিতে হবে। যাতে করে দাঁতে ক্ষয় না হয় এবং দাঁতের এলোমেলো অবস্থা না থাকে। ভবিষ্যতে যাতে এই সমস্যা না হয়। সুস্থ দাঁত মানে সুস্থ শরীর। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, যেসব শিশুর ছোটবেলা থেকেই দাঁত অসুস্থ থাকে, তাদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশ কম হয়।