শনিবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে দুই কোটি শিশু

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে আগামী শনিবার। ওই দিন দুই কোটি ১৫ লাখ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনিবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তিনি বলেন, ক্যাম্পেইনের দিন কিছু পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। এতে ছয় মাস বয়সী শিশুদের মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গত বছর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে শিশুমৃত্যুর বিষয়টি তুলে ধরেন কয়েকজন সাংবাদিক। জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, “গতবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে কোনো শিশু মারা যায়নি। অসুস্থও হয়নি। এটি একটি গুজব ছিল। এবার ক্যাম্পেইন চলাকালে কোনো কুচক্রী মহল নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম যাতে ব্যাহত করতে না পারে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই সতর্ক আছেন।”
জাহিদ মালিক বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার হার শতভাগে উন্নীত করার ফলে রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। জন্মের পর শিশুদের মায়ের দুধ পান করানোর হার ৬৬ ভাগে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, শর্করাজাতীয় খাদ্যের স্বাভাবিক পরিপাকে সাহায্য করে। শরীরের ত্বক, হাড় ও দাঁতের গঠন ও সুস্থতা রক্ষায় সহায়তা করে।
জাহিদ মালিক বলেন, বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে সব মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমানো যায়। এ ছাড়া হামজনিত কারণে মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার ৩৩ শতাংশ কমানো যায়।