আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে…

কষ্ট অনেক। কিছু কিছু কষ্ট তো এমনও হয় যে সবকিছু ছিঁড়ে-খুঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। যাঁর হয় সে-ই বোঝে তাঁর মাঝে কী হয়ে যাচ্ছে, তবে কষ্টের ঘূর্ণিপাকে কিন্তু অনেকেই পড়েন। আর তখনই আসতে পারে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ভয়াবহ ইচ্ছা। যেটাই হয়ে যাক, নিজেকে হনন করার মতো চিন্তা কখনোই মাথায় রাখা চলবে না। জীবন আপনার জন্য কীভাবে অপেক্ষা করছে, সেটাও একটু দেখুন।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ে প্রকাশিত হয়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার কিছু উপায়ের কথা।
আশা রাখুন
সমস্যা যত কঠিনই হোক, বিষণ্ণতা যত গভীর হোক—আশা ছাড়বেন না। হাল ছাড়বেন না। নিজেকে বলুন, সময় সবকিছু ঠিক করে দেবে। প্রকৃতি ভালো কিছু রাখবেই আপনার জন্য।
দুর্বল মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেবেন না
স্রেফ একা বোধ করছেন বা বাঁচার কোনো কারণই পাচ্ছেন না, এসব কষ্ট কোনোমতেই পাত্তা দেবেন না। এসবের চাপে চট করে কোনো সিদ্ধান্তেও যাবেন না। নিজেকে সময় দিন। একটু ভাবুন। দেখুন কী কী করলে অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব? কারো জন্য বা কিছুর জন্য কি জীবন থেমে থাকে?
কাছের মানুষকে বলুন
আপনার সমস্যা পরিবার বা কাছের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। প্রয়োজন হলে কাউন্সিলরের সাহায্য নিন।
চারপাশে তাকান
একা বোধ করছেন বা জীবনের বোঝা আর টানতে পারছেন না? আশপাশে তাকান। দেখবেন, কেউ না কেউ রয়েছে আপনার চেয়েও খারাপ অবস্থায়। সমস্যা ছাড়া কি জীবন হয় বলুন? একটু দেখুন, কীভাবে তাঁরা তাঁদের সমস্যাকে সামলায়। সমাধানের কোনো না কোনো উপায় আপনারও বের হয়ে যাবে।
আত্মহত্যাই কি সমাধান?
একবার ভাবুন আপনার মা-বাবার কথা, সন্তানের কথা বা যে মানুষগুলো আপনাকে ভালোবাসে, তাঁদের কথা। আপনি মারা গেলে তাঁদের কতটা কষ্ট হবে!
ব্যথা সাময়িক
জীবন তো অনেক বড়। দুই/চার বছর দিয়ে কি পুরো জীবন মাপা যায়? আর এই কয়দিনের কষ্টেই জীবনটাকে শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন? প্রকৃতির ওপর ভরসা রাখুন। বারবার বলুন, ‘ভালো আপনার হবেই। অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হবেই।’
মদ্যপান করবেন না
মদ্যপান করা বা মাদক সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। বিষণ্ণতা কাটাতে এগুলো সাহায্য তো করেই না, বরং আপনাকে আরো হতাশায় জড়িয়ে ফেলে। এর বদলে নিজেকে কর্মক্ষম রাখুন। কাজের মধ্যে ডুবে থাকুন। পাশাপাশি চেষ্টা করুন পছন্দের কাজগুলো করতে।