শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতেই হবে। ক্লান্তি কমানো, খিদে না হওয়া, কম ঘুমের মতো সমস্যার সমাধান মিটবে ম্যাগনেশিয়ামেই। নারীদের জন্য ম্যাগনেশিয়াম খুবই জরুরি। এখন এত বেশি বাইরের খাবার খাওয়ার ঝোঁক বেড়েছে, যে ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবারেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন কম বয়সীরা। এইসব খাবার থেকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ তো আসছেই না, উল্টে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড চড়চড় করে বেড়ে যাচ্ছে।

বয়স ৩০ পার হলে নারীদের শরীরে বিভিন্ন রকম খনিজ উপাদানের ঘাটতি হতে থাকে, হাড় দুর্বল হয়ে যেতে থাকে, শরীরে ক্লান্তি ভাব বাড়ে। পিরিয়ড বন্ধের সময় যত এগিয়ে আসে ততই হরমোনের ওঠানামায় শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। তাই এই সময়ে এমন খাবার খেতে হবে, যাতে ভরপুর মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম থাকে।

কেন জরুরি ম্যাগনেশিয়াম?

১. পিরিয়ডের সময়ে তলপেটে যন্ত্রণায় ভোগেন অনেক নারীরাই। পিরিয়ড জনিত কারণে শারীরিক ক্লান্তি, ঘন ঘন মেজাজ বদলে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। ম্যাগনেশিয়াম এইসব সমস্যা দূরে রাখতে পারে।

২. ৪০ বছরের পর থেকে অনেক নারীদের অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। দৈনন্দিন জীবনযাপনে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তাও বাড়ে। তাই এই সময়েই জরুরি ম্যাগনেশিয়াম। সঠিক মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম মেলাটোনিন তৈরি করে যাতে ঘুম ভাল হয়।

৩. হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ম্যাগনেশিয়াম। হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। প্রতিদিনের ডায়েটে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখলে বাতের ব্যথা-বেদনা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

৪. ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এর ভূমিকা রয়েছে।

৫) হাঁপানি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম।

কোন কোন খাবার থেকে পাবেন?

জোয়ারের তৈরি রুটিতে ভরপুর ম্যাগনেশিয়াম থাকে। পিনাট বাটার, ওটস, পালং শাক, মটরশুঁটি, ঢেঁড়শ খেলে এর ঘাটতি মিটতে পারে। ব্রকলিতেও থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অঙ্কুরিত ছোলা খেতে পারেন, এতেও থাকে ম্যাগনেশিয়াম। কাঠবাদামেও কিন্তু ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা বেশি। রোজ দুটি করে ভেজানো কাঠবাদাম খেলেও উপকার পাবেন।