ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে সৈকতের রেকর্ড

আগের ১৯ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছিলেন স্রেফ ৭টি উইকেট। আজ রোববার এক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে এই ফরম্যাটে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন এই স্পিনার।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। সৈকতের বোলিংয়ে ইনিংসের শুরুটা দারুণ হয় সফরকারীদের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে জোড়া সাফল্য এনে দেন সৈকত। এরপরও বাকি সময়েও জিম্বাবুয়েকে একাই দিশেহারা বানিয়ে দেন এই স্পিনার।
প্রথম ওভারের প্রথম বলে জিম্বাবুয়ের ওপেনার চাকাভাকে বিদায় করেন সৈকত। ওই ওভারের শেষ বলে ফের আঘাত হানেন তিনি। এবার ফিরিয়ে দেন গেল ম্যাচ জিম্বাবুয়ের জয়ের নায়ক ওয়েসলি মাধাভেরেকে। এটিও সাদামাটা ডেলিভারি ছিল। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে কাভারে মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ দেন মাধাভেরে। ৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাধাভেরে করেন ৪ রান। নিজের পরের ওভারে ফের উইকেটের দেখা পান সৈকত। এবার শিকার বানান ক্রেইগ আরভীনকে। সৈকতের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১ রানেই বিদায় নেন স্বাগতিক অধিনায়ক।
প্রথম স্পেলে ৩ উইকেট নেওয়া সৈকত পরের স্পেলে দুই উইকেট নিয়ে পূরণ করেন ফাইফার। নিজের চতুর্থ শিকার বানান শন উইলিয়ামসকে আর পঞ্চম শিকার বানান মিল্টন শুম্বাকে। প্রথমবার ৫ উইকেট নেওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন সৈকত। সেই সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
নিজের কোটার ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আগের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ২১ রানে দুই উইকেট।ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১১৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আগে কখনোই ইনিংসে দুই উইকেটের বেশি নিতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট নিলেন সৈকত। এর আগে এই ফরম্যাটে ৫ উইকেট নিতে পেরেছেন কেবল সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ।