বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দাপট

লক্ষ্যটা বড় নয়। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হতো মাত্র ১৩৬ রান। এই রান তাড়ায় দাপুটে ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাত উইকেটের জয়ে সিরিজে আশা বাঁচাল লাল-সবুজের দল।
আজ রোববার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান তুলতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন সিকান্দার রাজা। ৫৩ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কা দিয়ে। জবাব দিতে নেমে ১৫ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে একাই নাড়িয়ে দিয়েছেন সৈকত। নিজের কোটার ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আগের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ২১ রানে দুই উইকেট।
হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন সৈকত। বাংলাদেশি স্পিনারের করা অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে সজোরে মারতে গিয়ে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে দেন চাকাভা। শূন্যতে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
ওই ওভারের শেষ বলে ফের আঘাত হানেন সৈকত। এবার ফিরিয়ে দেন গেল ম্যাচ জিম্বাবুয়ের জয়ের নায়ক ওয়েসলি মাধাভেরেকে। এটিও সাদামাটা ডেলিভারি ছিল। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে কাভারে মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ দেন মাধাভেরে। ৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাধাভেরে করেন ৪ রান। নিজের পরের ওভারে ফের উইকেটের দেখা পান সৈকত। এবার শিকার বানান ক্রেইগ আরভীনকে। সৈকতের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১ রানেই বিদায় নেন স্বাগতিক অধিনায়ক।
প্রথম স্পেলে ৩ উইকেট নেওয়া সৈকত পরের স্পেলে দুই উইকেট নিয়ে পূরণ করেন ফাইফার। নিজের চতুর্থ শিকার বানান শন উইলিয়ামসকে আর পঞ্চম শিকার বানান মিল্টন শুম্বাকে। প্রথমবার ৫ উইকেট নেওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন সৈকত। সেই সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
তবে সৈকতের বোলিং কোটা শেষ হলে প্রতিরোধ গড়েন সিকান্দার রাজা। বাকি সময় লড়াই করে জিম্বাবুয়েকে ১৩৫রানের পুঁজি এনে দেন সিকান্দার রাজা। গত ম্যাচেও জিম্বাবুয়ের হয়ে দারুণ ব্যাট করেন তিনি। আজও বিপদে পড়া জিম্বাবুয়েকে বাঁচাতে লড়াই করেন রাজা।
সৈকত ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে উইকেটের দেখা পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। দুজনের পেয়েছেন সমান একটি করে উইকেট।