শেষ ম্যাচেও সেরাটা দিতে চায় বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ জয়ে সিরিজে ফিরেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচে নির্ধারণ হবে শিরোপা ভাগ্য। আর এই শেষ ম্যাচেই নিজেদের সেরাটা দিয়ে সিরিজ জিততে মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ। আজ রোববার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পর তেমনই বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
দ্বিতীয় ম্যাচে আজ বেশ ফুরফুরে মেজাজেই খেলেছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের শুরু থেকেই সবাই ছিলেন আক্রমণাত্মক। সেই রাস্তাটা অবশ্য করে দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ম্যাচের প্রথম ওভারেই নাড়িয়ে দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। তিনি একাই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।
সৈকতের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে বাংলাদেশও পেয়েছে স্বস্তির জয়। সাত উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে এবার সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সোহান বললেন, ‘ছেলেরা দারুণ পারফর্ম করেছে। বিশেষ করে বোলাররা আজ অনেক ভালো করেছে। সৈকতই পথ দেখিয়েছে, লিটন পথ দেখিয়েছে ব্যাটিং ইউনিটকে। আমার মনে হয় টস জিতলে আমরা প্রথমে বোলিংই নিতাম। আশা করি শেষ ম্যাচেও আমরা নিজেদের সেরাটাই দিব।’
হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে খুব বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হতো মাত্র ১৩৬ রান। এই রান তাড়ায় লিটন দাসের হাফসেঞ্চুরিতে ১৫ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় লাল-সবুজের দল।
এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জিম্বাবুয়েকে একাই নাড়িয়ে দিয়েছেন সৈকত। নিজের কোটার ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে ম্যাচসেরা হয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
ম্যাচসেরা সৈকত জানান, আগে থেকেই বোলিংয়ে তাঁকে নিয়ে পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন অধিনায়ক। এই স্পিন অলরাউন্ডার বলেন, ‘দারুণ লাগছিল (বোলিং ওপেন করা)। আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল আমি ইনিংস শুরু করব। অধিনায়ক আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন আমাকে। গত ম্যাচের হার নিয়ে খুব বেশি কথা বলিনি। শুধু বলেছি- দল হিসেবে খেললে অবশ্যই জিতব।’
ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১১৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আগে কখনোই ইনিংসে দুই উইকেটের বেশি নিতে পারেননি সৈকত। আজ নিলেন ৫ উইকেট।
বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট নিলেন সৈকত। এর আগে এই ফরম্যাটে ৫ উইকেট নিতে পেরেছেন কেবল সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ।