চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে নকআউটে স্পেন

ম্যাচটাকে বলা যেতে পারে স্পেনের আক্রমণ বনাম ইতালির রক্ষণ। ইউরোপিয়ান দল হলেও রক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ইতালির। বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের আরও একটি রক্ষণশৈলির প্রদর্শনী দেখেছে ফুটবল দুনিয়া। তবু রক্ষা হয়নি। আত্মঘাতী গোলে কপাল পুড়েছে আজ্জুরিদের। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন।
জার্মানির ভেলটিনস অ্যারেনায় শুক্রবার (২১ জুন) একের পর এক আক্রমণ করেও ইতালির গোলমুখ ভাঙতে পারেনি স্পেন। লা রোজাদের ফরোয়ার্ডরা অবশ্য থেমে থাকেননি। আক্রমণ করেছেন প্রতিনিয়ত। তেমনই এক অ্যাটাক সামলাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল জড়ায় ইতালি। আর সেটিই হয়ে রয় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক।
৫৫ মিনিটে আজ্জুরি ফুটবলার রিকার্ডো ক্যালাফিওরি নিজেদের জালেই বল পাঠান। আত্মঘাতী গোল দিয়ে পিছিয়ে পড়া ইতালি যেন ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে। তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কয়েকটি আক্রমণ করে স্পেন। কখনও নিজেদের ফিনিশিংয়ের ভুলে, কখনও ইতালিয়ান রক্ষণ দেয়ালে আটক পড়ে আক্রমণ। তাতে, আর পাওয়া হয়নি গোল।
পুরো ম্যাচে স্পেন মোট ২০টি আক্রমণ করেছে। যেখানে অন টার্গেট শট ছিল ৯টি। স্পেনের ৯টি অন টার্গেট শটের বিপরীতে ইতালির পুরো ম্যাচে মোট আক্রমণ সংখ্যা মাত্র চারটি। যেখানে একবারই প্রতিপক্ষের তেকাঠি বরাবর বল রাখতে পেরেছে তারা।
এই জয়ে পরের পর্ব নিশ্চিত হয়েছে স্পেনের। ‘বি’-গ্রুপে দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ চয় পয়েন্ট পেয়েছে দলটি। দুই ম্যাচে এক জয়ে ইতালির পয়েন্ট তিন।