বার্নাব্যুর ৯০ মিনিটের অপেক্ষায় মাদ্রিদ

বার্নাব্যুতে ৯০ মিনিট অনেক লম্বা—এই নিরীহ বাক্যটি প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়ংকর, সেটি কারও অজানা থাকার কথা নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা রিয়াল মাদ্রিদ ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অসংখ্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে। উলফসবার্গ, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটি—এগিয়ে থেকেও বার্নাব্যুতে এসে বিদায়ের বিষন্নতায় বিলীন হওয়ার দুঃখ পেয়েছে অনেক দলই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টায় মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষ আর্সেনাল। প্রথম লেগে আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়াম থেকে ৩-০ গোলের হার নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল মাদ্রিদ। বড় জয়ে এগিয়ে থাকার কথা ছিল আর্সেনালের। কিন্তু, লন্ডনের ক্লাবটি উল্টো ভয় পাচ্ছে। আর সেই ভয়টা সঙ্গত কারণেই।
মাদ্রিদ শহরে আজকের ম্যাচটি বাঁচা-মরার। হারলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আবার জিতলেই হবে না লস ব্লাংকোদের। খেলা অতিরিক্ত সময়ে নিতে হলেও মাদ্রিদকে জিততে হবে কমপক্ষে ৩ গোলের ব্যবধানে। আর ৯০ মিনিটে ম্যাচ শেষ করতে চাইলে ব্যবধানটা হতে হবে কমপক্ষে ৪ গোলের। যেখানে আর্সেনাল ড্র করলে বা ২ গোলের ব্যবধানে হারলেও চলে যাবে সেমিফাইনালে। এমন পরিস্থিতিতে কি না, উল্টো ভয়ে আছে তারা।
রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ম্যাচের ৬ ঘণ্টা আগে স্টেডিয়ামের ছাদ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ১৮ বছরের নিচে এবং ৪০ বছরের বেশি বয়সের দর্শকদের প্রবেশে থাকছে সীমাবদ্ধতা। স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দিতে এসবই যথেষ্ট। আর কেবল ভক্তরা নয়, ফুটবলাররাও অপেক্ষায় বার্নাব্যুর বিখ্যাত ৯০ মিনিটের।