দুই উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের পথে বাংলাদেশ

ভিন্ন কোনো গল্প লিখতে পারলেন না লিটন-নাঈমরা। বাকিদের মতোই হতাশ করেছেন তারাও। দিনের শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে ইনিংস হারের সেই শঙ্কাই সত্যিই হতে যাচ্ছে। কঠিন লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে ক্রিজে আছেন দুই টেলএন্ডার ব্যাটার তাইজুল ইসলাম আর ইবাদত হোসেন। তাইজুলের ৫ বলে ৩ আর ইবাদত ৩ বলে ২ রান।
আজ শনিবার (২৮ জুন) চতুর্থ দিন সকালে আশাটা ছিল লিটনকে নিয়েই। কিন্তু দিনের প্রথম ওভারেই হতাশ করে ফেরেন তিনি। জয়সুরিয়ার বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা কুশল মেন্ডিসকে। ফেরার আগে তিনি করেন ৪৩ বলে ১৪ রান।
লিটনের দেখানো পথেই হেটেছেন নাঈম হাসানও। তিনিও উইকেট দিয়েছেন জয়সুরিয়াকে। উইকেট ছেড়ে বের হয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন তিনি। ফেরার আগে করেছেন ৮ বলে ৫ রান।
কলম্বোতে তৃতীয় দিনে অসাধ্য সাধনে নেমেছে
দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। কিন্তু ম্যাচের চিত্রটা দেখা গেল ভিন্ন। ব্যাটিং ব্যর্থতার পুরোনো রোগেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে কলম্বোতে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে সেই অসাধ্য সাধনের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এর আগে তৃতীয় দিন শেষে ১১৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে ছিলেন কেবল লিটন দাস। নতুন দিনে তাকে সঙ্গ দিতে এসেছেন নাঈম হাসান।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ
নির্বাচকরা যে সুযোগ দিয়েছিল ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে তিনি যেনো সেটাকে পায়ে ঠেলে সরালেন। লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টানা ৪ ইনিংসে ব্যর্থ তিনি। এবার ফিরেছেন মোটে ১৯ রান করেই। এতে ভাঙে ৩১ রানের ওপেনিং জুটি। ঠিক তার চার বল পরেই ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ২৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে একটু আশা দেখাচ্ছিলেন তিন নম্বরে নামা মুমিনুল আর অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু সেটার স্থায়িত্ব ছিল মোটে ৬৮ বল। ৩৩ বলে ১৫ রান করে মুমিনুল বিদায় নিলে ভাঙে ৩৮ রানের জুটি। পরে একই পথে হেঁটেছেন শান্তও। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেছেন ৪৮ বলে ১৯ রান।
লিটন-মুশফিকের পঞ্চম উইকেট জুটিতে তৃতীয় দিন পার করে দেওয়ার স্বপ্ন বুনছিল অনেকে। কিন্তু শেষ বিকেলে তাদের হতাশ করে ফিরেছেন মুশফিক। জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। ফেরার আগে ৫৩ বলে ২৬ রান করেছেন মুশি।
এরপর দিনের বাকি সময় পার করার দায়িত্ব পড়েছিল লিটন আর মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে। দুজন এগোচ্ছিলেন ঠিকভাবেই। কিন্তু দিনের শেষ বলে রত্নায়াকের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হন মিরাজ। ফেরার আগে ১৬ বলে ১১ রান করেন তিনি। অপরাজিত আছেন লিটন দাস।